মায়ের কোলে চুপটি করে
শুয়ে রয় ছোট খোকা;
মনের মাঝে রয় মায়ের স্নেহ,
বাবার হাত যেন বিশ্বারণে ছাতা।
দিন দুপুরে, রোদে, জলে
কাজ করে চলে অবিরাম,
রাত্রিবেলায় ক্লান্ত দেহে
বাড়ি ফিরে লয় ছেলের নাম।
নিজের জীবন বিপন্ন করে
খেটে চলে দিবারাত,
ছোট্ট খোকা পড়বে ভালো
টাকা যে তার চায় ই চায়।
নিজের স্বপ্ন, নিজের আয়েশ
ভুলে যায় এক লহমায়
খোকা তার শিখরে পৌঁছবে,
এই কোথায় শুধু স্বপ্ন সাজায়।
মায়ের স্নেহে হাত বুলিয়ে
মাকে করে তার অবয়ব,
শিশুর শোকে মায়ের অশ্রু
মোছাবার একমাত্র সম্বল।
বাবা যেন বাড়ির ছাদ,
জানালার সেই কাঠের খিড়কি,
ঝড়ঝাঞ্জা যাই আসুক
দাঁড়িয়ে রয় পথ আগলে।
মা যদি হয় জীবনদায়ী
বাবা যেন নিজেই জীবন,
মা যদি হয় চাঁদের আলো
বাবা যেন সৌরপ্রভা।
বাবার আলোয় সবার আলো
মায়ের স্নেহে আলোর মায়া।
মাতৃ স্নেহের পরিপূরক
পিতৃ শাসন শিশুর জীবন;
মাতৃময়ী আত্মা সাজে
পিতৃ সত্তার মেরুদন্ড মাঝে।
বাবার চোখের শাসন মাঝে
শিশুর জীবন আকার সাজে।
পিতৃতুল্য নেই কোনো সাহারা;
ছোট্ট শিশুর মায়ের কোল ধরা,
বাবা যেন বৃক্ষ ছায়া।
বাবার আদর, বাবার স্নেহ
নোনা ভূতলে নারকেল সম,
উপর থেকে শক্ত খোলায়
যত্নে রাখে সবার স্নেহ।
বাবার অবদান বৃক্ষ সম
চায় না কোনো প্রতিদান,
বাবা যেন মনের কোলে
থাকে যেন মায়ের পাশেই।
পিতৃ ঋণ হয় না পরিশোধ,
বাবার সুরে সুর জড়িয়ে
শিশু পায় এক অনন্য জীবন,
বাবার স্বপ্ন হয় পূরণ।
রচনাকাল : ১৪/৬/২০২০
© কিশলয় এবং লোপা দাস কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।