পৌষ পার্বন মকর সংক্রান্তি ……………… ঘরে ঘরে পিঠেপুলি
অজয়ের ঘাটে সবাকার আহ্বান- ঐতিহ্যবাহী ধর্ম্মশীলার মেলা
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দরবার ডাঙা ঘাটে অজয় নদীতেও পূণ্যস্নানের জন্য ভিড় করেন বহু মানুষ। মকর উপলক্ষে পাথরচুড়, হিজলগড়া, লালবাজার, বাড়ুল, জামশোল গ্রামের লোকজন আসেন অজয় ঘাটের ধর্ম্মশিীলা মেলায়। মেলায় বিভিন্ন গ্রামীণ কুটির শিল্পীরা হরেক রকম মাটি, বাঁশ, বেত দিয়ে তৈরি ঘর সাজানোর সামগ্রী, মনোহারী দ্রব্যাদি, ফুল চুড়ি মালা, তালপাতার বাঁশি বিক্রি হয় এই মেলায়। আলুর চপ, সিঙারা ও বেগুনির দোকান সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। মিষ্টির দোকানও বসিয়েছে ময়রা কাকু। সকাল হতেই মেলা জমে ওঠে। ধীরে ধীরে মেলা ভেঙে যায়। সূর্য ডোবে অজয় নদীর কানারায়। রাঙাপথে দৌড়ে চলে গরুর গাড়ি। সবাই একে একে ঘরে ফিরে আসে। সাঁঝের আঁধার নামে। অজয় কুলু কুলু বেগে বয়ে চলে। রাতে চাঁদ ওঠে। জোছনায় নদীর জল ঝিলিমিলি করে।
পৌষ পার্বন মকর সংক্রান্তি …….. ঘরে ঘরে পিঠেপুলি
এসো পৌষ যেও না ( পৌষপার্বনের কবিতা-৫)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
লোকারণ্য নদীতট প্রভাতের বেলা,
অজয়ের চরে আজ ধর্ম্মশীলা মেলা।
বসেছে দোকানপাট কত সারি সারি,
চুড়ি মালা, ঝুমঝুমি, ফিতা মনোহারী।
কাঠের পুতুল আর রবারের বল,
তালপাতার বাঁশির ভেঁপু কোলাহল।
বেলুন-ওয়ালা দেখি মেলা চারপাশে,
খোকাখুকি সকলেই তার কাছে আসে।
মিষ্টির দোকানে ভিড় ময়রা কাকুর,
ঝোলা কাঁধে বৃদ্ধ ভোলা বেচে চানাচুর।
পড়ে আসে বেলা যবে অজয়ের চরে,
অবশেষে সকলেই আসে ফিরে ঘরে।
সাঁঝের আঁধার নামে ভেঙে যায় মেলা,
কুলু কুলু বয়ে চলে অজয় একেলা।
রচনাকাল : ১৭/১/২০২০
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।