ঈশ্বর নাকি সর্ব শক্তিমান। না না তাঁকে আমি স্বচক্ষে দেখিনি;
কিন্তু শুনেছি তিনি সব পারেন - কাঁদতে, হাসাতে, কষ্ট লাঘব করতে;
কিন্তু তুমিই বা কম কিসে? তুমিই বা কি পারনা? তোমার গান তো ক্রদ্ধ মানুষ কে আত্মঘাতী হওয়া থেকে বাঁচায়।
মৃত্যু পথযাত্রীর মৃত্যু যন্ত্রণা লাঘব হয় - তোমারই গানের সুরে।
হাসানো, কাঁদানো,প্রেম, অভিসার - সবই তোমার হাতের মুঠোয়।
তুমি একজন্মে যা সৃষ্টি করেছ,তার সুধা রস পান করতে কেটে যাবে আমাদের গোটা জীবন।
নিজ সৃষ্টি তে বারেবারে বিশ্ব দরবারে ভারত মাতাকে শীর্ষ আসন দিয়েছ তুমি।
আমার চোখে তুমিই ঈশ্বর, তুমিই শ্রেষ্ঠ।
তোমার সৃষ্টি আমি দুচোখে মেখেছি, হৃদয়েও লাগিয়েছি তার রঙ।
মায়ের অশ্রু, শিশুর প্রশ্ন,প্রেমিকের স্বপ্ন,
বৃদ্ধের হাহাকার,অনাথের ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা, বিপ্লবের প্রতিবাদ - সব কিছু তোমাতে তোমাতে ভরা।
তোমার সৃষ্টি বাঙালি তথা বিশ্ববাসির কাছে আশির্বাদ।
তোমার চরণ স্পর্শ পাইনি সত্যি, কিন্তু বক্ষ মাঝে বরণ করে নিয়েছি তারে।
পচিঁশে বৈশাখ দিন টির তাই তো মূল্য বিশ্লেষণ সম্ভব নয়।
রত্ন খনি থেকে এক মূল্যবান রত্ন আশির্বাদ স্বরুপ পেয়েছে বাঙালি।
তাই প্রতিক্ষণে স্মরণ করি তোমায় হে রবীন্দ্রনাথ।
রচনাকাল : ৮/৫/২০২০
© কিশলয় এবং নূপুর গাঙ্গুলী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।