চাঁদের কলার সাথে সাথে একাদশী পঞ্চদশী হতে চায়।
রাতের আড়ালে একা দুনিয়ায়
সুপ্তির গভীরে স্বয়ম্বর
নিত্যনতুন তারার হাত ধরে
ছোট্ট পায়ে শ্বশুরবাড়ি নতুন তারার দেশ।
তখন সে পৃথা
জ্যোৎস্না মাখা বিছানায়ে কোনো এক তারাকে ডেকে
এক প্রহর ধরে চলে সহবাস
অবসান্তে
তারার আলোয়ে স্নান করে আবার কুমারী হয়ে যায়।
প্রতিদিন চলে এই অভিসার
তবু কল্পনা মিলে মিশে যায়
দূর্বাসার বরে
সতীত্ব থাকে তার চির অক্ষুন্ন।
তারপর
স্বপ্নের ঘুম ভাঙ্গে
বাস্তবের বর হরণ করে তারাদের বৌকে।
খোলা জানলায়ে জ্যোৎস্না কুঁকড়ে যায়
অনেক রাতে একা ছাদে
জ্যোত্স্নায়ে চান করে আবার সে শুদ্ধ হতে চায়।
কিন্তু এবার দুর্বাসাও হারে
অসতীর কান্না পৃথিবীতে ই ঘূর্ণি তোলে
ঝড় হয়ে আছড়ে পড়তে পারে না
আকাশের প্রাচীরে।
হাতে পায়ে কালশিটে
ছেঁড়া শরীর
ছিন্নভিন্ন মন,
লোভ লালসায়ে যেদিন
বৌকে আগুনে জ্বালায়
রাতের ছাদে মশাল জ্বলে ওঠে
কালো ধোঁয়া আকাশ থেকে
আবার তারাদের পেড়ে আনে।
তারাদের বউ
আজ এতদিনে
পঁচিশে এসে
পৃথিবীর বাসর শেষে
চিরকালের মত
শ্বশুরবাড়ি চলে।
রচনাকাল : ২৮/৯/২০১৩
© কিশলয় এবং দীপান্বিতা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।