নিঃস্তব্ধ,
অস্বাভাবিক শৃঙ্খলাপরায়ণ,
অথবা শৃঙ্খল পরিহিত,
বঙ্গের মৃত্যুভূমি, ভারতের মৃত্যুভূমি,
বিরহী বিদ্রোহী পলাশী।
সাক্ষী সাহসের, সাক্ষী দেশপ্রেমের,
শ্মশান,গোরোস্থান; শত সহস্র বিশ্বাস এর।
ওরা লড়েছিলো সামনে থেকে,
ওরা মরেছিলো ধূর্ত আর বিশ্বাসঘাতকের হাতে-
বুকে ছিলো বিশ্বাস,
কিন্তু হায়ে-
পিঠে আমূল বিঁধেছিলো শাণিত খঞ্জর।
বাংলা দেখেছিল নিজেকে হারতে,
বাঙালী শিখেছিল নিজেকে বিকোতে।
সেদিন বঙ্গের স্বাধীন সূর্য-
পলাশীর সবুজ প্রান্তরের বুকে বয়ে যাওয়া রক্ত নদীতে স্নাত,
হাজারো তরবারির বুক চাপা আর্তনাদ-
হাহাকার করে খুঁজে নিতে চেয়েছিলো-
বনিকের স্বর্ণ মানদন্ডের গা বেয়ে চুঁয়ে পড়া
অন্ধকার আলোর মাঝে মুখ লুকিয়ে থাকা সেই
কৃতঘ্ন মীরজাফর।
পারেনি বঙ্গের স্বাধীন বাতাস ঝড় তুলে দিতে,
পারেনি বঙ্গের স্বাধীন আকাশ বিশ্বাসঘাতকতার বিষ শুষে নিতে,
পারেনি বঙ্গের স্বাধীন নদী দশদিক প্লাবিত করতে সেদিন,
পারেনি মূর্খ, স্বার্থে বাঁচা মানুষেরা
অস্বীকার করতে লোভের হাতছানি।
পারেনি সেদিন,
আজও পারেনি বাঙালী।
বুকচাপা, শত শত বছরের কান্না নিয়ে,
অজস্র মীরজাফরের অজান্তে -
তাই সীরাজ আজও জেগে থাকে,
বঙ্গের বুকে শত সহস্র কবরের প্রান্তে।
রচনাকাল : ৮/৯/২০১৩
© কিশলয় এবং অনির্বাণ মুখার্জ্জী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।