এখানে সন্ধ্যের পরে চায়ের আড্ডা জমে না বহুকাল। এখানে বাতাসে সত্যযুগের মত নরম পালক উড়ে আসে না গোধূলিতে। এখানে ছাদের বন্ধ দরজাতে মরচে পড়তে থাকে। রেলিং এর ফাটা অংশ জুড়ে গজিয়ে ওঠে অবাক করা যত সবুজেরা। মায়ের ক্লান্ত দেহের গন্ধ ঘুরপাক খায় বাতাসে। বিছানা আর সিলিং এর মাঝে দূরত্ব বেড়ে চলে। অনাকাঙ্খিত ভাবেই একেকটা দিন দামালপনা নিয়ে ঝড় এসে পড়ে। সমস্ত পৃথিবী হাঁ হয়ে থেকে শুষে নেয় সমস্ত জলকনা। ঘুলঘুলির মধ্যে দিয়ে ভিজে বাতাসের আভাস পাওয়া যায়। পৃথিবী কি আনন্দে মেতেছে আজকাল! কিন্তু ঘরের বন্ধ দরজায় বাতাসের আর্তনাদ ভিন্ন কিছুই চোখে পড়ে না।
কি জানি জানালার ওপারে নিবিড় হয়েছে কি পুকুরের জল, আর সেই বাঁশবন! সুপুরি গাছের মাথায় বকটা কি প্রতিদিন বসে নিয়ম করে! ডুমুরের গাছের তলায় ছোটবেলার জুজু বুড়ি এসে কি দাঁড়াচ্ছে প্রতিদিন!
না। পৃথিবী থেমে যায়নি। থেমে গেছে তার বিশ্বাসঘাতকতদের পদধবনি।
রচনাকাল : ৩০/৪/২০২০
© কিশলয় এবং ঋত্বিকা গায়েন কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।