জীবন দেখেছি আমি,দেখেছি বারংবার,
শুনেছি জীবন পথের জয়ধবনি দুর্নিবার।
জীবন দেখেছি আমি আর্যরথের আগমন পথ ‘পরে,
জীবন দেখেছি আমি পরাজিত আর নিপীড়িত অনার্যদের ঘরে।
জীবনের সুর ওঠে আকাশের মাথা ছোয়া বহুতলে,
জীবনের সুর বেজেছে পথের শিশুর অশ্রুজলে,
অন্নের আশায়ে হেটে চলা যুবক মনের কোনে-
জীবন এসে ধরা দিয়ে যায়ে বারে বারে প্রতিক্ষনে।
জীবন দেখেছি আমি-
অস্তিত্বের সংকটে এক ক্লান্ত করুণ চোখে,
জীবন দেখেছি আমি-
মৃতের স্মরনে জীবিতের মনে জাগ্রত মহাশোকে।
ধরনীর ‘পরে কিশলয়ে দেখে জীবনকে করি স্মরন,
ভোরের পাখির কলতানে শুনি জীবনের অণুরণন,
প্রার্থনা আর নামাজে শুনি জীবনের অনুনাদ;
এসবের মাঝে বাজে জীবনের বিজয় সংবাদ।
শুকনো পাতা ঝরে যায়ে তবু নবীনের কানে ডাক দিয়ে যায়ে,
সে আহবানের স্বরলিপি হয় জীবনের গীতালেখ্য;
মুক্ত পাখি দুডানা ছড়িয়ে-
আকাশের বুকে নিজেকে হারিয়ে-
ভেসে চলে আর ভেসে চলে শুধু জীবনকে করে লক্ষ্য।
কালবোশেখির বিনাশের মাঝে,
পলাশের রাঙ্গা অগ্নিভ সাজে,
সুন্দর মাঝে স্বমহিমায়ে দেখি জীবনের আবক্ষ।
রচনাকাল : ১১/৬/২০১১
© কিশলয় এবং অণির্বান মুখোপাধ্যায় কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।