আমি একটা গাছ লাগিয়েছি।
দুবেলা জল দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছি তাকে।
তাকে আমি জীবন দিয়ে আগলে রাখি।
গাছটা বড় হওয়ার জন্য আমি গাছের গোড়াতে সারও দিই।
দেখতে দেখতে গাছটা আমার চোখের সামনে বেড়ে উঠল।
কচি কচি পাতাতে গাছের রূপ যেন ফেটে পড়ছে।
সময় ক্রমে গাছে কুঁড়িও এল।
আনন্দে যতটা বুক আমার উচ্ছলিত হয়ে উঠল,
আতঙ্কে হৃদয়টা ততটাই কেঁপে উঠল।
আমার গাছের গায়ে যে যৌবনের ছোঁয়া লেগেছে।
ও--ও--যে সকলের নজরে পড়বে।
জানোয়ারের হাত থেকে আমি ওকে কি করে বাঁচাব???
কি করে আমি সহ্য করব কেউ ওর গায়ে হাত দিলে???
ধীরে ধীরে ফুল ফুটল।
রূপে-গন্ধে ওর তুলনা হওয়া ভার।
বুক দিয়ে আগলে রেখেছি ওকে।
বিকালেও গাছে জল দিয়েছি।
পরের দিন সকালে জল দিতে গিয়ে দেখি--
আমার প্রাণ ভোমরার গায়ে জানোয়ারের হাত পড়েছে।
ফুলটা তুলতে গিয়ে তার পাপড়ি গুলোও ছিঁড়ে ফেলেছে---
গাছ টা কেও ভেঙে ফেলেছে।
আমি বিচার চাইলাম আকাশের কাছে', বাতাসের কাছে;
তারা বিচারে বলল ফুল তো সৌর্ন্দয্যের প্রতিক।
সকলে তো তাকে চায়বেই।আর ফুল তুলতে গেলে গাছতো ভাঙবেই।
আমি নির্বাক শ্রোতার মতো শুনলাম;
এই যদি বিচার হয় --
কোন ভরসায় আমি আর একটা গাছ লাগাব?
কোন ভরসায় আমার প্রাণ ভোমরা গুণগুণ করবে???
রচনাকাল : ২২/৩/২০২১
© কিশলয় এবং নূপুর গাঙ্গুলী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।