জীবনে চলার পথ বড্ড কঠিন। আর সেখানে কারো আর্শিবাদ পাওয়া আরও কঠিন। আর্শিবাদ তথা ভালোবাসার জোরে শিক্ষকেরা অনেক সময় দায়িত্ব নিয়ে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর জীবনের লক্ষ্য পূরণ করেন। কিন্তু বাবা-মায়ের হাত ধরে জীবনে প্রথম চলা শুরু। শিক্ষা-দীক্ষা সবই তাদের হাতেই প্রথম হয়। তাই বাবা- মা, শিক্ষক------এঁরা সকলেই গুরুদেব।
বাবা-মায়ের স্নেহ-ছায়ায় মানুষ হতে গিয়ে আমরা, বিশেষ করে মেয়েরা বুঝতেই পারিনা "সংসার" নামক জায়গাটা কতটা কঠিন। এই সংসারের মায়াজালে সকলে আমরা আবদ্ধ হয়ে নিজেকে সকলের জন্য বিলিয়ে দিতে গিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলি। তবু সহজে আমাদের মূল্যায়ন হয়না। সেখানে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি-স্বামী সকলের দ্বারা কখনো ভালো, কখনো মন্দ ব্যবহার পেয়ে নিজে এক অন্য ছাঁচে পরিণত হই। বাবার ঘরের অঙ্কুরিত চারাই শ্বশুরবাড়ি এসে পূর্ণবৃক্ষে পরিণত হয়।
যে কাজ বাবার বাড়ি--"করতে হবেনা মা"----শুনেছি,শ্বশুরবাড়ি সেটাই শুনেছি ----"কিচ্ছু পারো না?"----। এই ভাবেই ঠেকে কখোনো, কখোনো দেখে, শিখতে হয়েছে "সংসার" কি? কিভাবে সঞ্চয় করতে হয়, কিভাবে ব্যায় করতে হয়-----এ সবই শেখা শ্বশুর বাড়িতে।
তাই স্বীকার করতে বাধা নেই----বাবা-মা-স্কুল টিচারের সঙ্গে সঙ্গে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি-স্বামীও শিক্ষক। তবে জীবনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সময়। সময়ের চাপেই, সময়ের পরিবর্তনেই আমরা জীবনে অনেক কিছু শিখি। এমন কি জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করি।
রচনাকাল : ৩০/৮/২০২০
© কিশলয় এবং নূপুর গাঙ্গুলী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।