ক্ষনিকের সাজে সাজাইও না মোরে ফুল-চন্দন দিয়া ;
তার চেয়ে আমারে রাখিও ও বুকে, তাতেই ভরিবে হিয়া।
কি হবে বলো ওই মিথা সাজে ---প্রাণের পরশ হীনা ;
তব জীবনে মিশাইও আমায় ---বাজিও প্রাণের বীনা।
সেই দূর কবে তোমা সবে ছাড়ি বিদায় লয়েছি আমি ;
তাই মম মন বড়ই ব্যকুল, চায় সে আসিতে নামি।
চায় সে আসিতে, আবার বাঁচিতে, চায় সে ছুটিতে মাঠে ;
চায় সে ধূলায় লুটিয়া পড়িতে দীঘির ঘাটে ঘাটে।
সাধ জাগে তার দেখিবে আবার শিশিরের ঝড়ে পড়া ;
ধানবীজ বোনা, ফাগুনের রঙ, কুমোরের মাটি গড়া।
কতো আশা জাগে নতুন করিয়া আবার মায়ের কোলে
শিশু হবো আমি, প্রশ্ন করিব, ভরিব ফুলে ও ফলে।
আরও কত সাধ, বলিতে না পারি জাগিতেছে বারেবার ;
নবীন তোমরা এই প্রবীণের কথা শুন একবার ---
তোমারে কয়েছি আরো একবার ফিরায়ে আনো মোরে ;
নিজ আদলে, আপন মননে, তোমারই মতন করে ;
তোমার কন্ঠে গেয়ে চলো তুমি, বাজাইবো আমি ব৺াশি ;
তোমার মনের সেই অন্দরে উঁকি দিব আমি আসি।
দেখিবে তখন যুগলবন্দি কিই যে করিতে পারে !
কাহার ক্ষমতা, কেই বা বাঁধিবে, কে আটকিবে তারে।
ছুটিবে তোমার পক্ষীরাজের ডানামেলা সাদা ঘোড়া ;
জগতের সবে চাহিয়া রহিবে, বাধ সাধিবেনা ওরা।
শুধু এটুকুই কথা ছিল মোর, নাহি কিছু আর বাকি ;
তবে চলিলাম.....ভালো থেকো সবে, ওদিকে পড়ে গেল ডাকাডাকি।
রচনাকাল : ১১/৬/২০১১
© কিশলয় এবং পথিক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।