জ্ঞান অবধি দেখছি, যে কোনো একটা রোগ আমার শরীরে লতানো গাছের মতো বেয়ে ওঠে।
ডাক্তার পাতা, কাণ্ড ছেটে দিলে সে একটু কমজোরি হয় বটে, কিন্তু মরেনা।
আবার গজিয়ে তার নতুন পাতা, ফুল-ফলও হয়।
কিন্তু এবার যেন অন্যরকম।
এক ডাক্তার দেবদূতের মতো এসে শুধু জানিয়ে গেলেন দেরি করলে 'সর্বনাশ'।
বিষফলে লতানো গাছ টা এমন ভাবে ভরে গেছে------
সকলের চোখ বলছে এবার বিদায় নেবার পালা আমার।
বুকে পাথর চাপা দিয়ে হন্যে হয়ে সে ভালো ডাক্তারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ল।
না না সে পথ সোজা নয়, বড্ড কঠিন।
লোক মুখে পরিচয় পাওয়া গেল আর এক ঈশ্বর রূপি ডাক্তারের।
তিনি নাকি আশ্চর্য অপারেশন করেছেন।
বাচ্চা দুটির শরীর দুটো, কিন্তু মাথা একটা।
তিনি তাদের সুস্থ করেন।
তাঁর চরণেই আমারও ঠাঁই হয়েছিল।
তিনি আমারও অপারেশন করে শরীরের বিষ ফল গুলো ছিঁড়ে গাছ টাকে উপড়ে ফেলেন---------
বাঁচতে শেখান আমাকে নতুন ভাবে।
রোগের জ্বালা যে কি --- তা আমি হারে টের পেয়েছ নিজের সঙ্গে জড়িয়ে অন্যকে
জ্বলতে দেখা টা আর এক কষ্টের।
এখন আমি সম্পূর্ণা।
আর তা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ডাক্তারের আর্শিবাদে।
জীবনে আমাদের প্রতি নিঃশ্বাসে রয়েছেন ডাক্তার।
তাই একটা বিশেষ দিন নয়,
প্রতিটি মুহূর্তে তাঁকে স্মরণ করি।
রচনাকাল : ৩০/৬/২০২০
© কিশলয় এবং নূপুর গাঙ্গুলী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।