• ১০ম বর্ষ ৪র্থ সংখ্যা (১১২)

    ২০২০ , সেপ্টেম্বর



শিক্ষক দিবস
আনুমানিক পঠন সময় : ২ মিনিট

লেখিকা : রীনা ভদ্র


কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০২০ , আগষ্ট
প্রকাশিত ৯ টি লেখনী ২৮ টি দেশ ব্যাপী ৫৭৭৯ জন পড়েছেন।
নিয়মানু-বর্তিতা সঙ্গে নিয়ে,
প্রথম শিক্ষাগুরু মা।
স্কুলের পাঠে হাতটি ধরে,
শিক্ষা দিলেন শিক্ষকরা।

অজ্ঞানতার অন্ধকার কাটালেন
 শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু,   বল্লেন,
আগে ভালো মনের মানুষ হও
তারপরে হোক শিক্ষা শুরু।

সেই শিক্ষায় চলা আমার 
জানাই সম্মান তাঁদের পায়ে,
যেটুকু মানুষ হলাম আজও,
সবি তাঁদের স্নেহের ছায়ে।

শিখিয়েছিলেন জীবন গড়া, 
মিত্রতা কারে বলে,
অ-আ-ক-খ এ-বি-সি-ডি 
অংক খেলার ছলে।

আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছি,
সবটাই তাঁদের স্নেহের দানে।
শতকোটি প্রণাম জানাই,
মা আর শিক্ষাগুরুর পায়ে।

মানুষ গড়ার কারিগর জানি,
তোমরাই পিতা-মাতা,
চরণে জানাই সহস্র প্রণাম, 
হৃদয়ে তব গাথা।
       
হ‍্যাঁ শিক্ষক দিবস বলতে গিয়ে মনের মাঝে চলে আসে সেই অতীত দিনের কথা। যখন প্রথম বুঝতে শিখি,মায়ের কথাই পড়ে মনে। হলুদ হাতে মা শেখাতো অ,আ,ক,খ কারে বলে। তারপর যখন একটু বড়, কাকার হাত ধরে ইস্কুলে যাওয়া। তখন মাস্টার মশাইদের কাছে শিখলাম অনেক..... কিছু। আস্তে আস্তে কলেজ ও পেরোলাম। প্রতিটি স্তরে শিখতে শিখতে এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি সবটাই শিক্ষাগুরদের আশীর্বাদ ধন্য হয়ে। হয়তো বড় হয়ে বুঝতে পারি এই শিক্ষক কথার মানে। শি-শিষ্টাচার,ক্ষ-ক্ষমাশীল,ক-কর্তব্য- পরায়ণ। সত্যিই তাই। শিক্ষক শিক্ষিকা হোলেন জাতির মেরুদণ্ড। ওনারা বাবা মায়ের মত সন্তানদের অর্থাত আমাদের পালন করেন বলেই আমরা আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।  কর্তব্য-পরায়ণতা, ধৈর্য এবং ক্ষমা করা কত সহজ তা আমরা ওনাদের এবং মায়ের কাছ থেকে শিখে সেই পথ অনুসরণ করে চলেছি । আমরা আজ ও বাবা মায়েদের মত শিক্ষা- গুরুদের শ্রদ্ধার আসনে বসিয়ে রাখি।  এখন প্রণাম প্রায় উঠে গেছে বললেই চলে। কিন্তু এখনো রাস্তায় শিক্ষক  শিক্ষিকার সাথে দেখা হোল পায়ে হাত রেখে প্রণাম না করলে মনের শান্তি আসেনা। নতুন প্রজন্ম হয়তো আমার কথাতে একটু চিন্তান্বিত হতে পারে কিন্তু সত্যি আজো আমরা এটাই করে থাকি শ্রদ্ধার সঙ্গে।আমাদের দেখানো রাস্তায় তারাও হাঁটবে জানি।যে কোনো মানুষ প্রতি মুহুর্তে শিখতে শিখতে জীবনের শেষ পার করে দেয়।কারন শেখার কোনো শেষ নেই।শুধু শিক্ষাগুরু নয় সমাজের প্রতিটি স্তরে আমারা শিক্ষা গ্রহন করি।আমরা এমন উদাহরণ ও দেখি, ফেলে দেওয়া অনাথ শিশুকে ডাষ্টবিন থেকে খুধার্ত কুকুর না খেয়ে, মুখে  নিয়ে নিরাপদে রেখেছে।এমন হাজর শিক্ষা প্রতি মুহূর্তে আমারা পেয়ে থাকি।

পরিশেষে বলতে পারি- শিক্ষক দিবস বলতে নির্দিষ্ট কোনো দিন হয়না!প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহুর্ত, প্রতিটি ক্ষনেই আমরা নতুন  নতুন শিখছি। তাই বলতেই পারি প্রতিটি সময় ই "শিক্ষক দিবস"।

*******************************

শুভেচ্ছান্তে,
শ্রীমতী রীনা ভদ্র
রচনাকাল : ৩০/৮/২০২০
© কিশলয় এবং রীনা ভদ্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 5  China : 25  Europe : 1  France : 7  Germany : 2  India : 149  Iran, Islamic R : 1  Ireland : 4  Russian Federat : 19  Saudi Arabia : 8  
Sweden : 10  Ukraine : 5  United Kingdom : 7  United States : 162  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 5  China : 25  Europe : 1  France : 7  
Germany : 2  India : 149  Iran, Islamic R : 1  Ireland : 4  
Russian Federat : 19  Saudi Arabia : 8  Sweden : 10  Ukraine : 5  
United Kingdom : 7  United States : 162  
  • ১০ম বর্ষ ৪র্থ সংখ্যা (১১২)

    ২০২০ , সেপ্টেম্বর


© কিশলয় এবং রীনা ভদ্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
শিক্ষক দিবস by Rina Bhadra is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৯১৩৬৯০
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী
fingerprintLogin account_circleSignup