জীবনে শিক্ষালাভের জন্য স্কুল, কলেজ,ইউনিভার্সিটি তে পড়াকালীন সময়ে আমি অনেক দিদিমণি এবং মাষ্টারমশাই দের সান্নিধ্য লাভ করতে পেরেছি। এনারা প্রত্যেকেই আমার অত্যন্ত সম্মানীয় ও শ্রদ্ধেয়।এনাদের আশিষ নিয়েই জীবনে উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে চাই আমি। প্রত্যেক দিদিমণি এবং মাষ্টারমশাই কে আমি সস্রদ্ধো প্রণাম জানাই।
আজ আমি বিশেষভাবে সেই শিক্ষক শিক্ষিকার কথা বলতে চাই যাদের থেকে জীবনের ভালো মানুষ হবার প্রাথমিক পাঠ আমি পেয়েছি ,এনারা হলেন আমার বাবা মা।ঠিক ভুলের ফারাক প্রথম বুঝিয়েছেন এনারাই।প্রতিমুহূর্তে মনুষ্যত্বের সঠিক পাঠ দিতে চেয়েছেন মা বাবা, জানিনা, কতটুকু আমি নিতে পেরেছি ।
শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত না থেকেও পড়াশোনার ব্যাপারে আমার বাবা সর্বদাই আমাকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। ছোট থেকেই হাতে ধরে লেখা শেখানো, রিডিং পড়তে শেখানো, আবৃত্তি পাঠ সবটার মূলেই আমার বাবা।
ক্লাস নাইন অবধি স্কুলে দিদিমণিদের পাশাপাশি বাড়িতে বাবাই ছিল আমার গৃহশিক্ষক।বিশেষ করে অঙ্ক আর ইংলিশ পাঠের ভরসা হলো বাবা।মনে হয় বাবা নিজেই যেনো এক ডিকশনারি।প্রাইমারি স্কুলের কর্মশিক্ষার ভরসা ছিল বাবা।পড়াশোনা, হাতের কাজ,আবৃত্তি পাঠ,অঙ্কন এবং সর্বোপরি মনুষ্যত্বের বিচারে আমার জীবনের প্রিয় শিক্ষক আমার বাবা।অপরের জন্য সর্বদাই সহমর্মিতার পরিচয় পেয়েছি বাবার ব্যবহারে।আমার কাছে সবদিক থেকেই বাবা একজন প্রকৃত ভালো মানুষ।প্রতিমুহূর্তে মা বাবা চেষ্টা করে আমাকে উন্নতির দিকে এগিয়ে দিতে ,ভালো মানুষ তৈরি করতে,জীবনের সঠিক শিক্ষা দিতে।
আমার সৌভাগ্য যে জীবনে এমন সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে শিক্ষালাভ করতে পেরেছি আমি । মা বাবাই আমার জীবনে র শিক্ষার উৎস।তাই এই শিক্ষক দিবসে আমার সকল দিদিমণি মাষ্টারমশাই দের সাথে আমি আমার মা বাবাকেও সস্রদ্ধ প্রণাম এবং সম্মান জানাতে চাই ।এনারা সকলেই আমার জীবনের বড়ো হওয়ার অনুপ্রেরণা।
শিক্ষার কোনো শেষ নেই ।আমার জীবনের মাত্র এই কয়টা বছরে খুব কমই শিখেছি আমি, অনেক কিছুই শেখার বাকি আছে আমার।
তাই আমি বাকি জীবনে আরও অনেক ভালো কিছু শিখতে চাই এবং আরও অনেক শিক্ষানুরাগী মানুষের সংস্পর্শে আসতে চাই। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আমার মা বাবা সহ সকল দিদিমণি এবং মাষ্টারমশাই দের আমার লেখনীর মাধ্যমে এটাই আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।।
রচনাকাল : ২০/৮/২০২০
© কিশলয় এবং পূর্বালী চক্রবর্তী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।