আত্মবিশ্বাস
আনুমানিক পঠন সময় : ৮ মিনিট

লেখিকা : প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জি


কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০২০ , আগষ্ট
প্রকাশিত ৭ টি লেখনী ২৪ টি দেশ ব্যাপী ৬১৮৯ জন পড়েছেন।
Priyanka Banerjee
"সারাদিন শুধু বসের চিৎকার। এটা হচ্ছে না, সেটা হচ্ছে না। কত পারা যায় বলতে পারেন! বাঁচতে গেলেও তো বাঁচার ইচ্ছে টুকু থাকা দরকার, আজকাল তো সেটাও কোথাও থেকে খুঁজে পাচ্ছি না। যাই করি তাই আর বসের পছন্দ হয়ে না। আসলে ব্যাপারটা কি বলুন তো, সব কাজ তো আর সবার জন্য নয়, যাকে যেটা তে মানায়, যে যেটা করতে পারে। এই কাজ আমি করতেই পারবো না, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এই কদিনে আমি ভালই বুঝে গেছি যে এই সব কাজ আমাকে দিয়ে হবে না। শুধু এই কাজ কেন, আমাকে দিয়ে ঠিক করে কোনো কাজই হবে না। সেই তো ছোটো থেকেই মায়ের কাছেও শুনে আসছি যে কোনো কাজ আমি ঠিক করে করতে পারিনা। তখন মা যখন এই কথা বলতো খুব রাগ হত আমার মনে মনে বলতাম দেখ বড় হয়ে একটা দারুন কাজ করবো, শুধু মনে মনে কেনো! কতবার তো মাকে সামনা সামনিও বলেছি। বড় হয়ে একটা দারুন কর্পোরেট সেক্টরে কাজ পেয়েও গেলাম। দারুন পোস্ট, দারুন সালারী, তবে কাজ না করতে পারলে সে আর কতদিনের সুখ? সবাই শুধু হুকুম চলতেই ব্যাস্ত। ফাইল ওয়ার্ক তো আর একজনকে দিয়ে হয়ে না। আরে ডাটাগুলোতো আমাকে দিতে হবে। সবাই আমার বিরুদ্ধে ওখানে সরজন্ত্র করছে, কিভাবে আমাকে সরাবে। এইভাবে আমি কাজ করতে কখনোই পারবো না। বস সব সময় খালি আমারই ভুলটা দেখে। উনিও বলেই দিয়েছেন যে আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না। কোনো কাজই আমি করতে পারবো না। আর সত্যিই তো তাই, আমি সত্যিই কোনো কাজের নই। এখানের এত আরামের কাজই আমার দ্বারা হচ্ছে না তো অন্য কোনো কাজ কীকরে হবে? আর এই সমস্ত সরজন্ত্রের মধ্যে থেকে কাজ একেবারেই করা যায়না। কাজটা তো আর আমার একার নয়। বস তো বলেই দিয়েছে যে দুদিনের মধ্যে ফাইলগুলো জমা দিতে না পারলে চাকরিটা আর থাকবে না। চাকরি না থাকলে তখন তো এমনিই না খতে পেয়ে মরতে হবে। নিজেরও কষ্ট তার সঙ্গে বাড়ির মানুষগুলোরও। ওইভাবে মরার চেয়ে নিজের কষ্টটা নিজেরই শেষ করে দেওয়া ভালো, তাতে অন্য কেউ কষ্টও পাবে না, আর নিজেরও জ্বালা জুরবে। আমার আত্মহত্যা করাই উচিত।"

পার্কের বেঞ্চিতে বসে একনাগাড়ে, ক্লান্ত ভাবে এতগুলো কথা বলে যাওয়ার পর, বোধহয় একটু দম নেওয়ার জন্য চুপ করলো চিরকালের টপার, এখন এক নামকরা কর্পোরেট সেক্টরে বেশ হাই পোস্টে কর্মরত পল্লব। এই শহরে পল্লব নতুন। আশপাশের বেশি কিছু চেনে না সে। এই পার্কটা একদম তার ফ্ল্যাটের উল্টোদিকেই বলে চেনা। প্রায় দিনই পল্লবের মন খারাপ করলে ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে এই বড় পার্কটার দিকে তাকিয়ে থাকে ও, তবে আজ মনের অবস্থা একেবারে ঝড়ের দাপটে ধসে যাওয়া মাটির বাড়ির মতন। এর আগে ও কখনো এই পার্কের ভিতরে আসেনি। আজ এসেছে। 

 
"সুইসাইড কখনোই কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। পালিয়ে আপনি যাবেন কোথায়??? লড়ে তো যেতেই হবে। আজ যদি আপনি আবেগের বসে কোনো ভুল স্টেপ নিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার চেও বেশি সেটা আপনার বাড়ির লোক, আপনার সব চেয়ে কাছের মানুষদের কষ্ট দেবে। কষ্ট পাওয়া কি তা তো আপনি জানেনই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তো ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।"


ঋষভের এই কথার মধ্যে দিয়ে যেন হুঁশ ফিরলো পল্লবের। ঋষভ এখানের লোকাল ছেলে। প্রায় পল্লবেরই বয়সের। বারান্দায় দাঁড়িয়ে পার্কের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় এই ছেলেটিকে বেশ কয়েকবার দেখেছে পল্লব। রাস্তাঘাটেও দেখেছে, তবে সামনা সামনি কথা হয়নি, আজ হচ্ছে। পার্কে আসার পর যখন মন মরা হয়ে বেঞ্চের উপর বসে ছিল ও, তখন এই ঋষভ নিজে থেকেই এসে নানান রকমের কথা বলতে থাকে ওর সাথে আর সেই সূত্রেই পল্লব নিজের দুঃখের কথা ওর কাছে বলে। গত দুঘন্টা ধরে ঋষভ পল্লাবকে নানানভাবে বোঝাতে চাইছে যে হেরে যাওয়ার জায়গা নেই, হেরে গেলে চলবে না। কিন্তু পল্লব নিজে এতটাই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে যে কিছু বুঝতেই চাইছে না। ঋষাভের কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই পল্লব বলে উঠলো-

"আমার আর কারুর কথা ভাবতে ইচ্ছে করছে না। এভাবে আমি কিছু করতে পারব না। এভাবে কেনো! আমি কোনো ভবেই কিছু করতে পারব না। আমি হেরেই তো বসে আছি, আর নতুন করে কি হারবো।"

অন্য কেউ ঋষভের জায়গায় হলে দুঘন্টা ধরে একটা অচেনা লোকের সাথে প্রথমত হয়তো কথাই বলতো না। তারপর আবার এতক্ষন ধরে নিজের কাজ কর্ম ফেলে রেখে, অন্যজনের ভালো থাকার প্রতি বা নতুন করে বাঁচার প্রতি তার আগ্রহ ফিরিয়ে হয়তো আনার চেষ্ঠা করতো না বা করলেও এতক্ষন পরও সে বুঝতে চাইছে না দেখে, তারমধ্যে কোনো রকমের বদল আসছে না দেখে বিরক্ত হতো। তবে ঋষভ একটুও বিরক্ত হলো না। তার চোখে ছিটেফোঁটাও রাগ নেই, তার বদলে তাতে রয়েছে একরাশ করুণ দৃষ্টি। খানিকক্ষণ এভাবেই পল্লবের দিকে তাকিয়ে থাকার পর সে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, বেঞ্চ ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে পল্লবকে উদ্দেশ্য করে বলল -

"এতক্ষন তো আমাকে বিশ্বাস করে নিজের সম্মন্ধে অনেক কথাই বললেন, এবার আমাকে বিশ্বাস করে একটা জায়গায় যাবেন?"

ভীষণ অবাক হয়ে পল্লব জিজ্ঞেস করল- "বিশ্বাস না করার প্রশ্ন ওঠে না, তবে কোথায় যাবো?" 

ঋষভ আর কথা না বাড়িয়ে হাঁটতে শুরু করে। ওকে দেখে ওর পথ অনুসরণ করে হাঁটতে থাকে পল্লব। একটু হেঁটে আসার পর ওরা মাইন রোডের উপর উঠে আসে এবং তারপরই একটু দূরে ইশারা করে ঋষভ পল্লবকে বলে -

"ওই যে ছেলেমেয়েগুলোকে দেখেছো, স্কুল ড্রেস পড়া, একজন আরেকজনের হাত ধরে এক লাইনে এগিয়ে চলেছে, আমাদের ওদের অনুসরণ করেই এগিয়ে যেতে হবে ওদের সাথে সাথে।"

"হ্যাঁ সে নাহয় গেলাম, কিন্তু যাবো কোথায়?"

"আমাকে একটু সময় দিন। অনেকটাই তো সময় আমায় দিলেন, আপনাকে রিকোয়েস্ট করছি যে আমাকে আর একটু সময় দিন, আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, আমি আপনাকে এইটুকু কথা বলতে পারি, এইটুকু নিশ্চিত করতে পারি যে যেখানে আপনাকে নিয়ে যাবো সেখানে গেলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না।"

পল্লব আর কোনো কথা না বাড়িয়ে হাঁটতে থাকে স্কুল স্টুডেন্টদের অনুসরণ করে। দু - এক পা হাঁটার পর ঋষভ তাকে বলে -

"এদের কিন্তু শুধু অনুসরণ করলে চলবে না, এদের দেখতে হবে। আর তাকিয়ে থাকা মানে কিন্তু দেখা নয়। এদের অবজার্ভ করুন।"

পল্লব এই কোথায় ভীষণ হচ্চকিয়ে গেল। কি বলে কি এই ছেলেটা! রাস্তা ঘাটে কথা স্কুল স্টুডেন্টদের অবজার্ভ করে লাভ কি? আর তাছাড়া এভাবে রাস্তায় কাউকে ফলো করলে বা দেখলে পাবলিকের হাতে তো মার খেতে হবে। আরও নানান কথা ভাবতে ভাবতেই নিজের অজান্তেই বোধহয় বাচ্ছাগুলেকে দেখতে শুরু করলো পল্লব। একটা অদ্ভুত ব্যাপার ওর চোখে পড়লো হঠাৎ। সোজা লাইনটা একবারের জন্যও কেউ ভাঙছে না। তারা সবাই শক্ত করে নিজেদের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে তবে সবার ঘাড় সোজা; একবারের জন্যেও ডানদিক কিংবা বামদিকে ঘুরছে কিংবা হেলছে না। রাস্তা পার করার সময় তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতেই হঠাৎ কেমন যেনো রোবটের মত শুধু পায়ের গোড়ালির উপর ভর দিয়ে সারা শরীরটাকে জেব্রা ক্রসিং -এর দিকে ঘুরিয়ে সেই একদম সোজা লাইনেই হেঁটে রাস্তা পেরিয়ে গেলো। মন্ত্রমুগ্ধের মত তাদের দেখেতে দেখেতে এগিয়ে চলেছে পল্লব আর তার সাথে ঋষভ। ভীষণ অন্যরকম লাগছে তাদের হাঁটা চলার ভঙ্গি পল্লবের। একটা যেন অদ্ভুত ছন্দ আছে সেই ভঙ্গিতে। তারা চলার সময় প্রত্যেকটা পা ফেলছে একদম সবাই একসাথে, দেখে মনে হচ্ছে যেন মিলিটারি প্যারেড। হঠাৎ একটা স্টেশনারারীর দোকানের সামনে এসে প্রথমজন থেমে গেল, সে থেমে যাওয়ার সাথে সাথেই বাকিরাও দাঁড়িয়ে পড়লো। প্রথমজন বাকিদের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করলো যে কর কি জিনিস দরকার। এক একজন করে জিনিসের নাম বলতে থাকলে দোকানি একটা ব্যাগের ভিতর জিনিসগুলো ভরে প্রথমজনের হাতে ধরিয়ে দেয়। জিনিসগুলো নিয়ে তারা আবার চলতে থাকে। একটা জায়গায় এসে, বলা ভালো যে একটা ক্যাম্পাস গোছের কিছুর গেটের সামনে এসে, লাইনের প্রথমজন ' এসে গেছি ' বলে গেটের ভিতরে ঢোকার জন্য, সেই রাস্তা পার করার সময় যেভাবে গোড়ালির ব্যাবহারে সারা দেহটাকে ঘুরিয়েছিল, ঠিক সেভাবেই এখনও গেটের দিকে ঘুরল, তবে সে একা। মন্ত্রমুগ্ধের মতন পল্লব ওদের সাথেই এগোতে যাচ্ছিল তবে ঋষভ তার হাত ধরে টেনে এনে রাস্তার অন্য প্রান্তে দাঁড় করালো। ক্যাম্পাসের গেটের উপর কিছু একটা লেখা আছে, যেটা এতক্ষন পল্লবের চোখের আড়ালে ছিল, তবে রাস্তার অন্য পাশে আসতেই সেই লেখাটা পরিষ্কার ভাবে দেখেতে পেলো ও আর সাথে সাথেই ওর বুকের ভিতরটা কেঁপে উঠল। তারপরই বিস্ফারিত চোখে তাকালো স্টুডেন্টদের দিকে, তারা তখন একে একে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। পল্লব অজান্তেই যেন 
বলে উঠলো -

"একি! এরা কেউ তার মানে..."

কথাটা শেষ করার আগেই ঋষভ বলে উঠলো, কিছুটা ম্লান স্বরে -

"দেখতে পায়না। ওরা দৃষ্টিহীন। এই দৃষ্টিহীনদের জন্য তৈরি অনাথ আশ্রমেই ওরা বড় হয়েছে।"

ঋষভের শেষ কটা কোথায় যেন কষ্টে বুক ফেটে গেল পল্লবের। ওর শুধু মনে হতে লাগলো যে একে দৃষ্টিহীন তারপর আবার অনাথ! এর চেয়ে বড় কষ্ট কি আর কিছুতে হতে পারে!
               ওর বেশ খানিকটা ঘোর কাটিয়ে দিয়ে ঋষভ আবার বলতে শুরু করলো -

" পার্কের বেঞ্চে বসে আপনি বলছিলেন না যে বাকি লোকে আপনার বিরুদ্ধে সরোজন্ত্র করছে! তার জন্য আপনার কাজের অসুবিধা হচ্ছে। আপনি জীবন যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন তার জন্য! আমি তো বলবো সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা বা সবচেয়ে বড় সরোজন্ত্র যদি কারো সাথে হয়ে থাকে সেটা হয়েছে ওদের সাথে। সবচেয়ে বড় কারিগর ওদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিয়ে, ওদের মা বাবাদের কেড়ে নিয়ে ওদের সাথে করেছে। তবুও কি আশ্চর্য দেখুন! এতবড় সরজন্ত্রের পরও ওরা কিন্তু ওদের জীবনযুদ্ধটা লড়ে গেছে আর লড়ে যাচ্ছেও। হেরে যাচ্ছেনা। প্রতিদিন জিতছে। এতক্ষন দেখলেনই তো কিভাবে অন্যকারো সাহায্য ছাড়াই নিজেরাই একে অন্যের কাঁধ হয়ে জনবহুল রাস্তা দিয়ে সুস্থভাবে ফিরে এলো! কেউ কিন্তু ওদের একটুও রাস্তা ছেড়ে দিল না একবারের জন্যও। বেশিরভাগ লোক তো আপনার মতই বুঝতে পারেনি যে এরা দেখতে পায়না। এরা কখনো রাস্তায় চলার সময় লাঠির ব্যাবহার করেনি, ব্যাবহার করেছে শুধুমাত্র নিজেদের আত্মবিশ্বাস। কারুর ভরসায় থাকেনি কখনো, নিজেদের কাজ, নিজেদের আত্মবিশ্বাসের জোরে নিজেরাই করেছে। নিজেরাও সঠিক ভাবে বেঁচে আছে আর অন্যদেরও বাঁচতে শেখাচ্ছে। আত্মবিশ্বাস যেকোন মানুষকে দিয়ে যেকোনো অসম্ভব সম্ভব করাতে পারে। একবার নিজের আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করে নিজেই চেষ্ঠা করে দেখুন না, এখনও তো বেশি দেরি হয়নি, সময় তো আছে দুদিন, চেষ্ঠা করে দেখুন, আপনি পারবেন।"

পল্লব শেষের কথাগুলো শুনলো কিনা, তা বোধহয় ও নিজেও জানে না। শুধু নিজের মনকে একটা প্রশ্ন করলো তাহলো -

"আমি কি সত্যিই পারবো?"

মনের মধ্যে থেকে কে যেন বলে উঠল - 

"পারবে। নিজের আত্মবিশ্বাসের জোরে।"

রচনাকাল : ১২/৫/২০২১
© কিশলয় এবং প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bangladesh : 1  Canada : 1  Europe : 1  Germany : 2  India : 97  Ireland : 5  Philippines : 1  Russian Federat : 2  Saudi Arabia : 5  Ukraine : 3  
United States : 165  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bangladesh : 1  Canada : 1  Europe : 1  Germany : 2  
India : 97  Ireland : 5  Philippines : 1  Russian Federat : 2  
Saudi Arabia : 5  Ukraine : 3  United States : 165  
© কিশলয় এবং প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
আত্মবিশ্বাস by Priyanka Banerjee is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৪৮৩৪৩৩