মায়ের পুনর্জন্ম
আনুমানিক পঠন সময় : ৯ মিনিট

লেখিকা : পারমুন সেনগুপ্ত
দেশ : India , শহর : Kolkata

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০২০ , আগষ্ট
প্রকাশিত ৩ টি লেখনী ১৫ টি দেশ ব্যাপী ১২৫৪ জন পড়েছেন।
Parmun Sengupta
#মায়ের পুনর্জন্ম#

                      দীর্ঘ দশবছর বিচ্ছেদের পর পুরীর সমুদ্র সৈকতে বর্তমান স্ত্রী চন্দ্রিমাকে নিয়ে বেড়াতে এসে হঠাৎ মুখোমুখি হয় অনিকেত ও শ্রেয়া ।শ্রেয়াকে দেখে অনিকেত আজও একবার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে, কিন্তু আজ আর তার রূপে মুগ্ধ হয়ে নয়।কলেজে পড়াকালীন যেই মেয়েটিকে দেখে সদ্য যৌবনে পা দেওয়া যেকোনো পুরুষ অনায়াসে প্রেমে পড়ে যেতে পারতো, আজ যেন সৃষ্টিকর্তা বহু যত্নে তার চোখের নীচে কিছুটা কালি দিয়ে তার শিল্পকর্মের পরিচয় রেখে গেছে।শ্রেয়া যতই কালো মোটা ফ্রেমের চশমার আড়ালে সেই কালিকে লুকোনোর চেষ্টা করুক না কেন, এককালে তার রূপমুগ্ধ প্রেমিক হয়ে অনিকেত কি করে তা না বুঝে থাকতে পারে!
                   
                  প্রায় বছর চারেক একসাথে সংসার সামলানো ও বাপের বাড়ির দায়িত্ব বয়ে চলার পর শ্বশুর-শাশুড়ীর কথা মতো অনিকেত তাকে চাকরী ছাড়ার কথা বললে, শ্রেয়া যতটা না দুঃখ পায় তার থেকে অনেকবেশি অবাক হয়।কারণ আগে থেকে সব জেনেও অনিকেত শুধুমাত্র বাবা-মায়ের পক্ষ নিয়ে বলে "তোমারও যে এবাড়ির প্রতি কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য আছে তা তুমি অস্বীকার করতে পারো না"!
শ্রেয়া ভাবে কোনদিনও তো সে অস্বীকার করেনি, শুধু বলেছিল মিল বন্ধের পর বেকার বাবার পাশে বড় মেয়ে হিসেবে বিয়ের আগে যেমন ছিল,সেভাবেই থাকতে চায়।অন্তত ভাইটা চাকরী না পাওয়া পর্যন্ত ঐ তিনটে মানুষের দায়িত্ব সে কিছুতেই অস্বীকার করতে পারবে না।সেদিন কিন্তু যুক্তি- তক্কের মধ্যে না গিয়ে অনিকেত অবলীলায় শুধু বলেছিল "তোর সব সিদ্ধান্তে আমি পাশে থাকবো"।কিন্তু না, কথা সে রাখেনি, বিয়ের কটা মাস যাওয়ার পরই শুরু হয়েছিল নানান অশান্তি- তর্কবিতর্ক।শ্রেয়ার সেদিন মনে হয়েছিল একটা মানুষের কতগুলো রূপ থাকতে পারে, আগের অনিকেতের সাথে বর্তমানের অনিকেতকে সে কিছুতেই মেলাতে পারে না।এভাবে নানারকম অশান্তিকে অগ্রাহ্য করে বছর চারেক কাটানোর পর যেদিন শাশুড়ি মা বলেন "হয় শ্রেয়া এবাড়িতে থাকবে, নয় আমি" সেদিন আরো একবার অনিকেতকে তার পাশে না পাওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই শ্রেয়া ঘর ছাড়ে।

              বিকেলে শ্রেয়া তার ছেলে অংশুকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে বসে থাকাকালীন দেখে অনিকেত তার বর্তমান স্ত্রীর সাথে নিজস্বী তুলতে ব্যস্ত।শ্রেয়া জানতো অনিকেত তাকে দেখলে নিজেকে গুটিয়ে নেবে, তাই সে অংশুকে বলে "চল্ বাবা, আমারা হোটেলে ফিরে যাই।" অংশু তার বাধ্য ছেলে, বলে কেন গো মা, তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে? পারবে হেঁটে হোটেল পর্যন্ত যেতে? শ্রেয়া বলে হ্যাঁ রে বাবা পারবো, আমার শরীর একদম ঠিক আছে।আসলে তখন শ্রেয়ার মনের ভিতর যে রক্তক্ষরণ চলছে তা যে সে কাউকে বলে বোঝাতে পারবে না।মা- ছেলে উঠে হোটেলের পথে রওনা দেয়।এদিকে অনিকেতের চোখও যেন সর্বক্ষণ শ্রেয়াকে খুঁজে চলেছে, তাই তাদের উঠে চলে যাওয়াটা তার দৃষ্টি এড়ায় না।আসলে অনিকেতের মনে যে অনেক প্রশ্ন, সে সবের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত সে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না।পরেরদিন  সকালে প্রাতঃভ্রমণের নাম করে বেরিয়ে অনিকেত সোজা চলে যায় তাদের পাশের হোটেলে যেখানে শ্রেয়া ও অংশু আছে।শ্রেয়া প্রথমে একটু অবাক হলেও অনিকেতের কৌতুহলের কারণ বুঝতে তার বিশেষ অসুবিধা হয় না।সেদিন কিন্তু শ্রেয়া তাকে ফিরিয়ে দেয়।আসলে শ্রেয়া যে নিজের কাছে পণ করেছিল শত কষ্টেও সে আর কখনোই অনিকেতের কাছে ফিরবে না।সত্যিই সে ফেরেনি।সমস্যাটা শুরু হলো বাবার মৃত্যুর পর যখন ভাই চাকরী পেয়ে নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে বৌ নিয়ে এলো, তখন শ্রেয়ার বুঝতে বেশি সময় লাগেনি যে ভাই-এর সংসারে শ্রেয়া, তার ছেলে ও তার মা এখন গলগ্রহ।তাই তখন সে আর দেরি না করে দু'কামরার একটা ছোট ঘর ভাড়া করে মা ও ছেলেকে নিয়ে পত্রপাঠ  সেখান থেকে রওনা দেয়।তাদের তিনজনের সংসারে পয়সার সাচ্ছল্য তেমন না থাকলেও শান্তির কোন অভাব ছিল না।মা আসতে রাজি না হওয়ায় শ্রেয়া একাই অংশুকে নিয়ে একটু খোলা হাওয়ায় নিশ্বাস নেওয়ার আশায় বেরিয়ে পড়ে পুরীর উদ্দেশ্য।

                   সন্ধ্যেবেলা শ্রেয়া অংশুকে নিয়ে বাজারে ঘোরার সময় হঠাৎ অংশুর হাতটা ছেড়ে যেতেই শ্রেয়া ঘুরে দেখে অনিকেত অংশুর  হাতটা ধরে বলে "কি ব্যাপার অংশুবাবু, তুমি বুঝি মার্কেটিং করতে বেরিয়েছো?" শ্রেয়া তৎক্ষণাৎ অংশুর হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলে "কতবার না তোমায় বলেছি, অচেনা লোকের কাছে যেতে নেই।" অনিকেত বলে "আজ আমি অচেনা হয়ে গেছি শ্রেয়া?" শ্রেয়া বলে "ক্ষমা করবেন , আমিও কোন অচেনা মানুষের সাথে কথা বলা পছন্দ করি না" বলেই অংশুকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

                পরের দিন সকালে হোটেলের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে চন্দ্রিমা পাশের হোটেলের বাইরে অংশুকে কাঁদতে দেখে।চন্দ্রিমা তাড়াতাড়ি ঘরে গিয়ে অনিকেতকে সেটা জানালে দুজনে কোনরকমে ছুটে গিয়ে দেখে , অংশু ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদছে আর ভিতরে ডাক্তার এসেছে শ্রেয়াকে দেখতে।অনিকেতকে দেখেই অংশু ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে বলে "দেখো না, মা কেমন করছে"।ডাক্তার শ্রেয়াকে পরীক্ষা করে বলে "ওনাকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে ভালো কোনো হসপিটালে ভর্তি করুন, যদিও হাতে সময় বেশি নেই"।অনিকেত তো আকাশ থেকে পড়ে, বলে প্লিজ ডক্টর, একটু খুলে বলুন ওর কি হয়েছে? ডাক্তারের কথায় অনিকেত নিজেকে সামলাতে না পেরে হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠে।চন্দ্রিমা বলে "'বিহেভ ইওরসেল্ফ অনি!' কি হয়েছে? তুমি ওরকম করছো কেন?" অনিকেত
চন্দ্রিমাকে বলে "শ্রেয়ার  হার্টের কন্ডিশন খুব খারাপ, ডাক্তার বলল বেশি সময় নেই হাতে"।অনিকেতের মুখে এই নামটা শুনে আর তার আচরণ দেখে চন্দ্রিমার বুঝতে বেশি সময় লাগে না যে এই অনিকেতের প্রাক্তন স্ত্রী, কিন্তু অনিকেতের মুখে শোনা সেই ডানা কাটা পরীর সাথে চোখের নীচে কালি পরা এই মহিলাকে মেলাতে তার একটু অসুবিধাই হয়।চন্দ্রিমা অংশুকে বলে তোমার বাবা কোথায় সোনা? অংশু কাঁদতে কাঁদতে বলে "জানিনা আন্টি, মা বলে বাবা নাকি হারিয়ে গেছে, আর আসবে না"।চন্দ্রিমার সন্দেহ হয়, তবে কি ও অনিকেতের সন্তান?সেদিন রাতেই তারা শ্রেয়া আর অংশুকে নিয়ে কলকাতার পথে রওনা দেয়।হোটেল থেকে শ্রেয়ার নতুন বাড়ির ঠিকানা নিয়ে সেখানে পৌঁছলে শ্রেয়ার মা, মেয়ের এই অবস্থা দেখে কেঁদে ফেললেও অনিকেতকে দেখে কিছুটা ভরসা পায়।

              শ্রেয়াকে কলকাতার বড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।শ্রেয়ার মায়ের মুখে সব শুনে অনিকেত ভাবে "এত জেদ তোমার শ্রেয়া!এতকিছু ঘটে গেছে তবুও একটিবার আমাকে কিছু জানাওনি!" অনিকেতের বাবা-মা বছর তিনেক হ'ল মারা গেছেন, এখন তারা শুধু স্বামী- স্ত্রী বালিগঞ্জের বাড়িতে থাকে।অংশু আর শ্রেয়ার মাকে চন্দ্রিমা একপ্রকার জোর করেই তাদের কাছে এনে রেখেছে এবং তাদের যত্নেরও কোনো ত্রুটি সে রাখেনি।

                         শ্রেয়াকে হসপিটাল থেকে সোজা নিয়ে আসা হয় বালিগঞ্জের বাড়িতে।আপত্তি থাকলেও চন্দ্রিমার এভাবে আপন করে কাছে টেনে নেওয়ার ক্ষমতার কাছে হার মানতে হয় শ্রেয়াকে।শ্রেয়াকে আগের থেকে অনেকটা সুস্থ মনে হলেও ডাক্তার বলে দিয়েছে, এবার সবার মনকে প্রস্তুত করার সময় এসে গেছে।এতবছর পর এবাড়িতে ফিরে শ্রেয়া দেখে সবকিছু ঠিক আগের মতোই আছে, শ্রেয়ার সাজানো বাগানে চন্দ্রিমা যেন মালির ভূমিকা পালন করে চলেছে।অংশুকে পেয়ে অনিকেতও যেন তার ছেলেবেলাকে ফিরে পেয়েছে।

                  বাড়ি আসার পরও শ্রেয়া সেভাবে অনিকেতের সাথে কথা বলতে চাইতো না, অনিকেত কিন্তু অনেক সুযোগ খুঁজেছে।শ্রেয়ার সাথে যে তার অনেক বোঝাপড়া বাকি।ঈশ্বর হয়তো অনিকেতের মনের আগুনটা নেভানোর জন্য হঠাৎই একটা সুযোগ করে দেন।চন্দ্রিমার এক বন্ধুর ছেলের জন্মদিনের নিমন্ত্রণ আসে।অনিকেত ইচ্ছাকৃতই অফিসের কিছু কাজের বাহানা দিয়ে, তার যাওয়া সম্ভব নয়, একথা জানিয়ে দেয়।চন্দ্রিমা অনেক জোরাজুরি করে অংশুর সাথে শ্রেয়ার মা'কেও নিয়ে যায়।

                  সন্ধ্যাবেলা বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামার সাথে সাথে লোডশেডিং হয়ে গেলে মোমবাতি হাতে অনিকেত শ্রেয়ার ঘরে আসে।অনিকেত শ্রেয়ার মাথার পাশের টেবিলে মোমবাতিটা রেখে তার হাত দুটো ধরে বলে "আজ তোমাকে আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে।কেন এতবছর ধরে তুমি আমাকে অন্ধকারে রেখেছিলে? অংশু যে আমারই অংশ তা আমায় জানাওনি কেন? শ্রেয়া রুগ্ন গলায় আস্তে আস্তে বলে "তুমিও তো আমার কোন খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করোনি! তুমি জানো আমি কতো কষ্টে ওকে একা মানুষ করেছি।দিনের পর দিন ওর নিষ্পাপ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। রোজ সকালে উঠে অংশুর বলা প্রথম কথাটা ছিল "ও মা বলো না,আজকে আমার বাবা আসবে?"শেষে বলতে বাধ্য হয়েছি "বাবা কোনোদিনও আসবে না"।অনিকেত হাতটা আরো শক্ত করে ধরে বলে "আমাকে ক্ষমা করো শ্রেয়া, তবে আজ তোমাকে একটাও মিথ্যে বলবো না, বাড়ির সবাই আবার আমার বিয়ের চেষ্টা করলে সে বিয়েতে আমি রাজি ছিলাম না, প্রথমে কিছুদিন ডিভোর্স না হওয়ায় আবার বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে বিয়েটা আটকে ছিলাম, কিন্তু সবার কথায় তোমাকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠানোর পর বার বার হাজিরার দিন তুমি কোর্টে উপস্থিত না থাকায় আদালত থেকে মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ ধরে নিয়ে ডিভোর্সটা হয়ে যায়, যদিও মামাবাবু উকিল হওয়ায় ব্যাপারটা একটু সহজ হয়ে যায়। তারপরেও আমি তোমাদের বাড়ি গেছিলাম, কিন্তু সেখান থেকে আমাকে খালি হাতেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বলা হয়েছিল তোমার ঠিকানা তারা জানে না, এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছি।যদিও চন্দ্রিমা খুব ভালো মেয়ে জানো, ও কোনদিনও তোমার জায়গা নিতে চায়নি, বলেছে "কাউকে সত্যি ভালোবাসলে তাকে কখনোই পুরোপুরি মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়"।শ্রেয়ার চোখ থেকে জল গড়াতে দেখে অনিকেত বলে "আমি কিন্তু তোমাকে আঘাত করতে চাইনি"।শ্রেয়া বলে"এ যে আমার আনন্দাশ্রু, যবে থেকে হার্টের অসুখটা জানতে পেরেছি, প্রতিনিয়ত একটাই ভয় হয়েছে, আমার কিছু হলে আমার অংশু আর মাকে কে দেখবে?কিন্তু আজ আমি অনেকটাই নিশ্চিন্ত, বিশ্বাস করো অনিকেত তোমার ওপর দায়িত্ব দিতে না পারলেও চন্দ্রিমার ওপর চোখ বন্ধ করে সমস্ত দায়িত্ব সঁপে দিয়েছি, আর আমি যদি ভুল হই, তাহলে জানবো সেটা অংশুর ভাগ্য, এছাড়া যে আমার আর কিছু করারও নেই।তবু এতদিনে এটুকু বুঝেছি চন্দ্রিমার মনটা অনেক বড়, এতবড় মন আমাদের দুজনের কারোরই ছিল না। ঠিক সেই সময় আলো জ্বলে ওঠে, তারা দুজন তাকিয়ে দেখে চন্দ্রিমা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদছে।শ্রেয়া তাকে ডেকে বলে "এদিকে আয় বোকা মেয়ে, কাঁদছিস কেন?আজ যে আমার, তোর থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার মতো কিছুই নেই, শুধু একটা আবদার আছে তোর কাছে, আমার অংশু আর মাকে তুই দেখিস।চন্দ্রিমা বলে "এভাবে বোলো না দিদি, তুমি জানো না অংশুকে পেয়ে এই প্রথমবার মা না হয়েও আমি মা হওয়ার সুখ অনুভব করতে পেরেছি।হঠাৎ শ্রেয়ার বুকে ব্যথা ওঠে, অংশুকে তার কাছে নিয়ে যাওয়া হলে শ্রেয়া তার মাথায় হাত বুলিয়ে, বেচেঁ থাকা শেষ নিঃশ্বাসটুকুর সাথে খুব কষ্ট করে বলে "ভালো হয়ে থেকো, আমি চলে যাচ্ছি",বলেই সে চোখ বোজে।অংশু বলে "মা কোথায় গেলো আন্টি? বাবাকে যেই খুঁজে পেলাম, মা কি হারিয়ে গেল?"চন্দ্রিমা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে "তোর মা কোত্থাও হারাইনি সোনা, আমি তাকে কিছুতেই হারিয়ে যেতে দেবো না, আজ থেকে এই আন্টির মধ্যেই বেঁচে থাকবে তোর মা"।

©পারমুন সেনগুপ্ত
রচনাকাল : ৩০/৮/২০২০
© কিশলয় এবং পারমুন সেনগুপ্ত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 2  China : 12  France : 1  Hong Kong : 1  India : 95  Ireland : 22  Russian Federat : 4  Sweden : 12  Ukraine : 5  United States : 71  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 2  China : 12  France : 1  Hong Kong : 1  
India : 95  Ireland : 22  Russian Federat : 4  Sweden : 12  
Ukraine : 5  United States : 71  
লেখিকা পরিচিতি -
                          পারমুন সেনগুপ্ত ৫ ই অক্টোবর কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি একজন গৃহবধূ এবং গুজরাটে থাকেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর করেন। এরপর গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে স্নাতক স্তরে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণ পদক লাভ করেন। শৈশব থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চায় আগ্রহী ছিলেন। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের গল্প পড়ে তিনি ভীষণ ভাবে অনুপ্রাণিত হন এবং ২০১৯ সালে প্রথম লেখিকা হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে সোসাল মিডিয়ার একটি গ্রুপে। সেই থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তিনি লেখালেখি করেন। গল্প লেখা ছাড়া রন্ধন বিষয়েও তিনি সমান আগ্রহী। 
                          
© কিশলয় এবং পারমুন সেনগুপ্ত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
মায়ের পুনর্জন্ম by Parmun Sengupta is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৩৭৭৫০২
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী