~ মনোবৃত্তি ~
রূপক ঘোষ
ভোমলা কে সবাই চেনে উচ্চতাতে খাটো,
ব্যঙ্গ করে বাঁটুল ডাকে স্বরটা করে ছোটো।
পাড়ার সবাই লাগায় কাজে ইচ্ছেমত তাকে,
হাসিমুখে তামিল করে নিজের কাজের ফাঁকে ।।
রমা বৌদি বললে ডেকে ভোমলা তুমি শোনো,
রেশন টা ভাই তুলতে হবে ভুল করো না যেন।
ছাদের থেকে মুচকি হেসে পম্পা ডাকে তাকে,
সময় করে এসো তুমি তোমার কাজের ফাঁকে।।
ভর্তি আছে হাসপাতালে ছোট্ট আমার মেয়ে,
রাতটা তোমায় থাকতে হবে মুখটা আমার চেয়ে।
চিন্তা তোমার নেইকো মোটে যাবোই আমি যাবো,
কেমন আছে মিষ্টি সোনা খবর আমি দেবো।।
চরকি পাকে ভোমলা ছোটে সবার কাজের তরে,
ফুরসৎ নেই নিজের কাজে জীবন পরের তরে।
সংসারটা চলবে কিসে বললে মাতা কানে,
সংসারটা দেখবে তোমার পাড়া-পড়শি জনে।।
নেই করুণা ভোমলা প্রতি মুখেই শুধু মিষ্টি,
ভূতের বেগার খাটাতে হবে সেই দিকেতেই দৃষ্টি।
দিন কেটে যায় এমন করে ভোমলা সবার তরে,
অনাহারে ভোমলা সেবার পড়লো খুবই জ্বরে।।
সংসারটা অচল প্রায় পকেট হলো ফাঁকা,
দোরে দোরে ভোমলার মা চাই যে কিছু টাকা।
পড়শিরা কেউ নেইকো পাশে সবার নাকি অভাব!
বিপদ এলেই বুঝবে তুমি সত্যিকারের স্বভাব।।
----*----
রচনাকাল : ৬/৮/২০২৩
© কিশলয় এবং রূপক ঘোষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।