কিছু ভয়ংকর সুন্দরের মধ্যে,
অভাব জিনিসটা অসম্ভব রকমের সুন্দর।
যে বড্ড রকম ক্ষুধার্ত থাকে
তার রয়েছে যেমন ভাতের অভাব।
যার পরিধান করার মতো কাপড় নেই,
সেই বুঝে কাপড়ের অভাব।
যে বাবা-মা তার সন্তানের জন্যে এক টুকরো
কাপড় দিতে পারে না,
সে বাবা-মা অনুধাবন করতে পারে পরিধানের বস্তুটা কতটা অভাব তার কাছে।
শত - সহস্র বর্ণ, শব্দ কিংবা বিশাল বিশাল বইয়ের স্তুপ থাকা সত্ত্বেও
যে পড়তে জানে না, লিখতে পারে না
কেবলমাত্র সে ব্যক্তিই বুঝে পড়া লেখা করতে
না পারার অভাব।
যে স্ত্রী সন্তান জন্ম দিতে পারে না,
আমরা যাকে বন্ধ্যা বলে জানি।
সে মহিলা বুঝে সন্তান না থাকাটার অভাব।
মা ডাক এবং বাবা ডাক না শুনার অভাব
কেবলমাত্র তারাই বুঝে, এই মধুর ডাকের অভাব।
সত্যিই অভাব এক ভয়ংকর রকমের সুন্দর,
যাকে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না শুধু অনুভব করা যায়।
টাকার অভাবে যে প্রিয় মা-বাবা'কে যে সন্ত্বান
চিগিৎসা করাতে পারে নি,
সেসব সন্ত্বনেরাই বুঝে অর্থের অভাবটা কি!
যে অর্থের প্রাচুর্যতার জন্যে বাবা মাকে হারিয়ে এতিম হতে হয়েছে।
আসলে,
অভাব আছে বলেই বেঁচে থাকার আনন্দটা উপভোগ করি কিংবা মহাপাপ জেনেও আত্মহত্যা করি।
প্রিয় মানুষটাকে শেষ চেষ্টা করেও যে কাছে রাখতে পারে নি,
সে ব্যর্থ প্রেমিক বুঝে বেকারত্ব ঘোচাতে একটা চাকুরির অভাব।
যারা বেকার থাকা সত্ত্বেও প্রিয় মানুষটাকে বুকে নিয়ে রাত্র যাপন করে, তার কথা নাহয় ভিন্ন।
আসলে অভাবে কোনো জাত,পাত ধর্ম কিংবা বর্ণ নেই।
আমরা মানুষ হিসেবে কেউ না কেউ,
কোনো না কোনো দিক থেকে অভাবের মধ্যে দিয়েই
বাঁচতে হয়।
রচনাকাল : ২৯/১০/২০২২
© কিশলয় এবং বাহারউদ্দিন আহম্মেদ (শ্রাবণ) কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।