বসন্তে রাঙা হৃদয়... নব নব কিশলয়
বসন্তের আগমনী কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে হাঁটা। মিলনের এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে, মানুষকে করে আনমনা। এমন মধুর দিনে এমন শঙ্কাও কি জাগে না অধীর প্রতীক্ষায় থাকা কোন মনে- ‘সে কি আমায় নেবে চিনে/ এই নব ফাল্গুনের দিনে- জানিনে...?’। এ সময়েই শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি। গাছে গাছে নতুন পাতা, স্নিগ্ধ সবুজ কচি পাতার ধীর গতিতে বাতাসের সঙ্গে বয়ে চলা জানান দেয় নতুন কিছুর। শীতে খোলসে ঢুকে থাকা বন-বনানী অলৌকিক স্পর্শে জেগে ওঠে। পলাশ, শিমুল গাছে লাগে আগুন রঙের খেলা। প্রকৃতিতে চলে মধুর বসন্তে সাজ সাজ রব। বসন্তের ঝিরিঝিরি হাওয়া, রক্তিম পলাশ, শিমুল, কাঞ্চন পারিজাত, মাধবী, গামারি আর মৃদু গাঁদার ছোট ছোট ফুলের বর্ণিল রূপে চোখ জুড়াবে।
বসন্তে রাঙা হৃদয় নব নব কিশলয়
তরুশাখে শোভা মনোহর,
ফুটেছে শিমূল কত ঝরে পড়ে অবিরত
রাশি রাশি বসুধা উপর।
তরুশাখে পাখি গায় বহিছে দখিনা বায়
পূরব গগনে উঠে রবি,
অজয়ের দুইকূলে শোভিছে পলাশ ফুলে
বসন্তের অপরূপ ছবি।
বসন্তের ছোঁয়া লাগে বনে বনে পাখি জাগে
শুনি কোকিলের কুহুতান,
আসে অলি দলে দলে মধু খায় ফুলে ফুলে
গুঞ্জরিছে সদা ভ্রাম্যমান।
অজয়ের নদীচরে সাদা বক মাছ ধরে
শালিকের দল করে খেলা,
অজয় নদীর বাঁকে শেয়ালেরা জোরে হাঁকে
দিবসের শেষে সাঁঝবেলা।
রচনাকাল : ১১/৩/২০২২
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।