দেবী আসছেন। মা বীণাপানি, বিদ্যাদায়িনী। তার আগমনের আর মাত্র একটি দিন বাকী। সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম প্রচলিত পূজা। সরস্বতী দেবীকে শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলার দেবী ও আশীর্বাদদাত্রী মনে করা হয়। বাংলা মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংগীত, সাহিত্য ও শিল্পকলায় সফলতার আশায় শিক্ষার্থী ও কবিগণ দেবীর পূজা করে থাকেন।
বাকদেবী, বিরাজ, সারদা, ব্রাহ্মী, শতরূপা, মহাশ্বেতা, পৃথুধর, বকেশ্বরী সহ আরো অনেক নামেই দেবী ভক্তের হৃদয়ে বিরাজ করেন। পুরাণ অনুযায়ী দেবী সরস্বতী ব্রহ্মের মুখ থেকে উত্থান। দেবীর সকল সৌন্দর্য্য ও দীপ্তির উৎস মূলত ব্রহ্মা । পঞ্চ মস্তকধারী দেবী ব্রহ্মা এক স্বকীয় নিদর্শন। বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে তিনি পূজিতা হন সরস্বতীরূপে। যাবতীয় বিদ্যা, সঙ্গীত, নৃত্য, চারুকলা তথা সব নান্দনিক সৌন্দর্য-মাধুর্যের দেবী সরস্বতী।
আসুন, প্রস্তুতি নিন। বাংলা কবিতা আসরের আমরা সকলেই আগামীকাল বাণী-বন্দনায় রত হবো। আমাদের সকলের মিলিত সাহচর্যে পূজা উপাসনায় সার্থক হবে দেবীর বন্দনা। দেবীর আরাধনা। দেবীর স্তুতি। বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
দেবীর আগমনী-স্তুতি……দেবী আবাহন
বাণী-বন্দনায় রত বাংলা কবিতার আসর
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
মাঘ মাস শুক্ল পক্ষে দেবী আগমন,
ফুলে ফুলে সুসজ্জিত বিদ্যার ভবন।
দেবী আগমনে আজি প্রফুল্লিত মন,
বিদ্যালয়ে আজি হয় দেবী আনয়ন।
ছাত্র-ছাত্রী সবে আসে বিদ্যার আলয়ে,
পু্স্তক দোয়াত পেন খাতা হাতে লয়ে।
বাণী-বন্দনায় রত শিক্ষার্থী সকলে,
করয়ে বন্দনা তব ভক্তি শতদলে।
এসো দেবী ধরাধামে মহিমা অপার,
জয় জয় বীণাপানি বিদ্যার আধার।
বিদ্যা-অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুমি সরস্বতী,
প্রণাম জানাই মাগো আমি তব প্রতি।
কবিতা আসরে আজি যত কবিগণ,
লিখেন কবিতা তব পূজিয়া চরণ।
শুক্লা পঞ্চমীতে হয় দেবী আগমন,
দেবী আবাহন কাব্য লিখিল লক্ষ্মণ।
রচনাকাল : ৪/২/২০২২
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।