শীতের স্নিগ্ধতায় শীতের সকাল …শীতে কাঁপে অজয়ের চর
শীতের চাদরে ঢাকা আমার কবিতা (দশম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
শীতের সকালে যখন ঘন কুয়াশায় সবকিছু ঢেকে যায় তখন প্রকৃতিকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়। ... কুয়াশার চাদর সরিয়ে সোনালী সূর্য যখন উঁকি দেয় তখন স্নিগ্ধ আলোয় ঝলমল করে কুয়াশায় ভেজা প্রকৃতি। খুব অপরূপ লাগে কুয়াশা ঝরা শীতের সকাল।
হিমেল পরশে কাঁপে শীতের সকাল,
গরু নিয়ে মাঠে চলে গাঁয়ের রাখাল।
উত্তরে হাওয়া বয় শীত লাগে ভারি,
রাঙাপথে ধারে ধারে খেজুর সুপারি।
তাল পুকুরের পাড়ে আছে তালগাছ,
জলে তার সারাদিন খেলে রুইমাছ।
গাঁয়ের বধূরা সবে স্নান করে জলে,
কলসীতে জল নিয়ে নিজ ঘরে চলে।
অজয়ের নদীঘাটে সোনা রোদ ঝরে,
একতারা হাতে নিয়ে কেহ গান করে।
শীতের পরশে কাঁপে অজয়ের চর,
নদীবাঁকে শালবন শোভা মনোহর।
শালবন পাশে দেখি মহুলের বন,
বাঁশি ও মাদল বাজে ভরে উঠে মন।
আদিবাসী রমনীরা সুরে গান গায়,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি তার কবিতায়।
রচনাকাল : ২৯/১/২০২২
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।