শীতের স্নিগ্ধতায় শীতের সকাল …শীতে কাঁপে অজয়ের চর
শীতের চাদরে ঢাকা আমার কবিতা (নবম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
শীতের সকালে যখন ঘন কুয়াশায় সবকিছু ঢেকে যায় তখন প্রকৃতিকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়। ... কুয়াশার চাদর সরিয়ে সোনালী সূর্য যখন উঁকি দেয় তখন স্নিগ্ধ আলোয় ঝলমল করে কুয়াশায় ভেজা প্রকৃতি। খুব অপরূপ লাগে কুয়াশা ঝরা শীতের সকাল।
শীতে কাঁপি ঠকঠক শালমুড়ি গায়ে,
হিমেল হাওয়া বয় বাঁশ ঝাড় বাঁয়ে।
শীতের সকালে সবে আগুন পোহায়,
কেহবা রোদ লাগায় বসি আঙিনায়।
ফুলবনে ফুল ফুটে হিম পড়ে ঘাসে,
বধূরা নদীর ঘাটে জল নিতে আসে।
অজয়ের নদী ঘাটে থামে গরুগাড়ি,
নদীপার হয়ে অন্য গাঁয়ে দেয় পাড়ি।
রাঙাপথ চলে গেছে সোজা নদীঘাট,
রবিবারে নদীঘাটে বসে সেথা হাট।
সারাদিন বেচাকেনা সারা হলে পরে,
সাঁঝেরবেলায় দেখি সবে ফিরে ঘরে।
অজয় নদীর পাড়ে সাঁঝের বেলায়,
বাউলেরা একসাথে সুরে গীত গায়।
রজনী প্রভাত হয় নদী বেগে বয়,
প্রভাতের রবি হাসে সুপ্রভাত হয়।
রচনাকাল : ২৮/১/২০২২
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।