শীতের স্নিগ্ধতায় শীতের সকাল …শীতে কাঁপে অজয়ের চর
শীতের চাদরে ঢাকা আমার কবিতা (অষ্টম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
শীতের সকালে যখন ঘন কুয়াশায় সবকিছু ঢেকে যায় তখন প্রকৃতিকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়। ... কুয়াশার চাদর সরিয়ে সোনালী সূর্য যখন উঁকি দেয় তখন স্নিগ্ধ আলোয় ঝলমল করে কুয়াশায় ভেজা প্রকৃতি। খুব অপরূপ লাগে কুয়াশা ঝরা শীতের সকাল।
শীতের সকাল আজি রোদ ঝলমল,
তরুশাখে পাখিসব করে কোলাহল।
সকালে সোনার রবি পূবদিকে হাসে,
শীতের সকালে হিম পড়ে কচিঘাসে।
গাঁয়ের মাঝেতে আছে শিবুর দোকান,
খয়ের সুপারি বেচে আর বেচে পান।
রাঙাপথে সারি সারি চলে গরুগাড়ি,
খেজুরের গাছে দেখি কেহ বাঁধে হাঁড়ি।
কাজলা দিঘির জলে হাঁসগুলি চরে,
কলসীতে জল নিয়ে বধূ চলে ঘরে।
আঁকাবাঁকা গলিপথ দুই ধারে বাড়ি,
রাঙাপথে এসে মিশে বটতলা ছাড়ি।
গ্রাম সীমানায় আছে অজয়ের ঘাট,
রবিবার সকালেতে সেথা বসে হাট।
অজয় নদীর ঘাটে পড়ে আসে বেলা,
সন্ধ্যা নামে সাঙ্গ হয় দিবসের খেলা।
রচনাকাল : ২৭/১/২০২২
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।