শুনি হেমন্তের গান ...........অজয়ের কলতান
অজয় নদীর কবিতাগুচ্ছ-১৪২৮ (চতুর্থ পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয়ের নদীবাঁকে পাখি উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে
শাল পিয়ালের বন দূরে,
সবুজ ডাঙার পরে গরু ও বাছুর চরে
বাজে বাঁশি রাখালিয়া সুরে।
উত্তরে ছাড়িয়া মাঠ দক্ষিণে অজয় ঘাট
সারি সারি চলে গরুগাড়ি,
ঘাটে এসে গাড়ি থামে গাড়ি হতে বধূ নামে
গায়ে নীল বেনারসী শাড়ি।
বধূরা কাপড় কাচে তীরে গাছে পাখি নাচে
স্নান সেরে চলে বধূ ঘরে,
কলসীতে জল নিয়ে ঘোমটা মাথায় দিয়ে
হেঁটে চলে মেঠো পথ ধরে।
মাঠে মাঠে সোনা ধান আকুল করে পরান
ধান নিয়ে চাষী আসে বাড়ি,
ধান কাটা হলে পরে গাড়িতে বোঝাই করে
বোঝা নিয়ে চলে গরুগাড়ি।
অঘ্রানে নবান্ন হয় কোলাহল পাড়াময়
নবান্নের স্বাদ অতি মিঠা।
বধূরা ঢেঁকিতে চড়ে সেই চাল গুড়ি করে
নতুন চালের হয় পিঠা।
রচনাকাল : ১২/১২/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।