আশ্চর্য নয় সত্য......অবাক হলেও সত্য ঘটনা
চতুর্থ খণ্ড (দশম পরিচ্ছেদ)
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আধুনিক যুগের নানা প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বসবাস করছি আমরা। কিন্তু এই স্বাচ্ছন্দ্যকর জীবনে পৌঁছানোর পেছনে যে কতো অজস্র কাহিনি লুকিয়ে আছে তা আমারা কজনই বা জানি। পেছনে ফেলে আসা ভুলগুলো শুধরেই তো মানুষের সামনে এগিয়ে যাবার গল্প তৈরি হয়। তবে প্রাচীন এই অজানা অদ্ভুত বিষয়গুলো জানলে এখন সত্যিই ভীষণ চমকে উঠতে হয়, যা শুনলে অবাক হবেন আপনিও। আবার এই সময়ে এসে এসব হাস্যকরও মনে হতে পারে আপনার কাছে।
মাথার উপর গর্ত করা!
চিকিৎসকরা মানুষের মাথার উপর গর্ত করে দিতেন।
প্রায় সাত হাজার বছর আগের কথা। তখনকার সময় মানুষ মনে করতেন শয়তানের কারণে শরীরে রোগবালাই বাসা বাঁধে। আর মানুষের মাথাকেই তারা এর শয়তানের আবাসস্থল মনে করতেন। মাথার ভেতর থেকে সেই শয়তান যেন বের হয়ে উড়ে চলে যেতে পারে তাই তৎকালীন চিকিৎসকরা মানুষের মাথার উপর গর্ত করে দিতেন।
উন্নত বক্ষের চিকিৎসায় কাচের বল এবং রাবার!
কাচের বল, রাবার এবং হাতির দাঁত দিয়ে বক্ষের ইমপ্লান্ট করানো হতো। প্রতীকী ছবিটি সংগৃহীত।
নারীদের সৌন্দর্য বর্ধনে উন্নত বক্ষের চিকিৎসা সেই আদিকাল থাকেই চলে এসেছে। কাচের বল, রাবার এবং হাতির দাঁত দিয়ে বক্ষের ইমপ্লান্ট করানো হতো। পৃথিবীতে প্রথম বক্ষের ইমপ্লান্টের সার্জারি করা হয় ১৮৯৫ সালে।
আইনিভাবে কন্যার প্রেমিককে খুন করতে পারতেন পিতা!
আইনিভাবে কন্যার প্রেমিককে খুন করতে পারতেন পিতা।
বলছি চতুর্থ শতকের কাছাকাছি সময়ের কথা। তখন রোমান সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ের আগ পর্যন্ত প্রেম করা নিষিদ্ধ ছিল। যদি কোনো মেয়ে প্রেম করতে গিয়ে তার বাবার হাতে ধরা পড়ে, তাহলে আইনিভাবে কন্যার প্রেমিককে খুন করতে পারতেন পিতা।
পিতা সর্বোচ্চ তিনবার তার পুত্রকে দাস হিসেবে বিক্রি করতে পারতেন!
এটি প্রাচীন রোমের ইতিহাস। তখন পিতারাই তাদের পুত্রকে সর্বোচ্চ তিনবার দাস হিসেবে বিক্রি করতে পারতেন। যেহেতু তখনকার পরিবারগুলো পিতৃপ্রধান ছিল তাই বাবারা চাইলে তার যে কোনো সন্তানকে মেরে ফেলার অধিকারও রাখতেন। কিছু সংখ্যক নিষ্ঠুর পিতার দেখাও মিলেছে সেই প্রাচীন রোমান সম্প্রদায়ে, যারা নিজ হাতে খুন করেছেন সন্তানকে।
সূত্র: ব্রাইট সাইড।
রচনাকাল : ৮/৯/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।