আশ্চর্য নয় সত্য......অবাক হলেও সত্য ঘটনা
তৃতীয় খণ্ড (দশম পরিচ্ছেদ)
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গ্রামে কোন পুরুষ নেই, তবু যেভাবে মা হচ্ছে মেয়েরা!
দক্ষিণ কেনিয়ার একটি ছোট জনপদ হল উমোজা। ২৭ বছর ধরে এখানে শুধু মেয়েদের বাস। কাঁটাতারে ঘেরা এই গ্রামে ছেলেদের প্রবেশ নিষেধ। কেন? তাহলে ফিরে যেতে হবে ১৯৯০ সালে।
সেই সময় ব্রিটিশদের হাতে গণ ধর্ষণের শিকার হন এখানকার ১৫ জন মহিলা। এরপর তারা ঠিক করেন গ্রামের একপ্রান্তে নিজেদের মতো জনপদ তৈরি করে তারা থাকবেন।
কোনও রকম পুরুষের প্রবেশ নিষেধ। সেই ১৫ থেকে আজ সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ২৫০ জনে। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া, গার্হস্থ্য হিংসা আর নির্যাতনে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া কিংবা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন মহিলাদের ঠাঁই হয়েছে এই গ্রামে।
মহিলারা মনে করেন তাদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় এই গ্রাম। আর অসহায় মেয়েদের জন্য এই গ্রামের দরজা সবসময় খুলে রেখেছেন বাকি মেয়েরা।
শুধু মেয়েরাই নন, তাদের সন্তানরাও রয়েছেন সঙ্গে। এবার প্রশ্ন হল যে গ্রামে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ সেখানে মেয়েরা কীভাবে পুরু’ষের সাহায্য ছাড়াই সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন।
গ্রামে যেহেতু পুরুষের প্রবেশ নিষেধ তাই পছন্দের পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনের জন্য রাতের বেলা অন্য গ্রামে যান মেয়েরা। তবে বাইরের কোনও অতিথির সঙ্গে যৌনমিলন করতে পারবেন না মেয়েরা এমনও নিয়ম রয়েছে।
মেয়েরা তাদের গ্রাম সাম্বুরুতে নিজেরাই গড়ে তুলেছেন স্কুল, কালচারাল সেন্টার এবং সাম্বুরু ন্যাশনাল পার্ক।
তাদের নিজস্ব একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে। নিজেরা গয়না এবং ঘরসাজানোর নানা দ্রব্য বানিয়ে তা যেমন অনলাইনে বিক্রি করেন তেমনই পর্যটকদের কাছেও বিক্রি করেন। বহু পর্যটক আসেন এই গ্রাম ঘুরতে।
তাদের জঙ্গলসাফারি, মিউজিয়াম ঘুরে দেখানোর দায়িত্বও থাকে মহিলাদের হাতে। আসার আগে অনলাইনে বুকিং করতে হয়।
তথ্য সূত্র- বাংলার চোখ
রচনাকাল : ২/৯/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।