আশ্চর্য নয় সত্য......অবাক হলেও সত্য ঘটনা
তৃতীয় খণ্ড (চতুর্থ পরিচ্ছেদ)
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
প্রেম মানুষের জীবনের এক অনবদ্য অধ্যায়। কারো জীবন কেটে যায় এক প্রেমে, কারো জীবনে আসে একাধিক। তবে চাইলে এটাকে পেশা হিসেবেও নিতে পারেন। অবাক হচ্ছেন? হতেই পারেন! কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বেকার ছেলেদের এমনই চাকরি দিচ্ছে একটি সংস্থা।
জানা যায়, একাকী মেয়েদের একাকীত্ব কাটাতে বয়ফ্রেন্ড জোগাড় করে দিচ্ছে একটি সংস্থা। যে মহিলা বয়ফ্রেন্ড ভাড়া করবে তার নাম এবং সমস্ত তথ্য সবই গোপন রাখা হবে। বয়ফ্রেন্ড বুক করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। কোনো মহিলা যদি বয়ফ্রেন্ড ভাড়া করতে চান তাহলে তাকে অনলাইনের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এটি একটি অ্যাপের মাধ্যমে করা যাবে। এই অ্যাপের নাম ‘রেন্ট এ বয়ফ্রেন্ড’।
এই চাকরির পারিশ্রমিক ঘণ্টায় ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ছেলে হিসাবে বাড়বে নির্ধারণ হবে টাকার অঙ্ক। সে কত শিক্ষিত, দেখতে কেমন এসব। তার গুন যত বেশি হবে টাকার অঙ্কও বাড়বে।
ভাড়ার সমস্ত টাকা ‘বয়ফ্রেন্ড’ নিতে পারবেনা। তার কিছু শতাংশ দিতে হবে ঐ সংস্থাকে। আবার যে মহিলা বয়ফ্রেন্ড ভাড়া নেবে তার জন্যেও রয়েছে কিছু শর্ত। যেমন- ভাড়া করা বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কোনো পার্টিতে যাওয়া যাবে না। তার সঙ্গে কোনো শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে না।
আপাতত ভারতের মুম্বাই ও পুনে শহরে এই পরিষেবা চালু হয়েছে।
ডিম আগে নাকি মুরগি।
যুগে যুগে এই প্রশ্নটি চলে এসেছে। বহু বিজ্ঞানী থেকে সমাজতত্ত্ববিদ এই জটিল ধাঁধার সমাধানে কাজ করেছেন যুগের পর যুগ। কিন্তু কোনও সমাধান খুঁজে পাননি।
অবশেষে সমাধান এল এক গবেষণায়।
আমেরিকায় একটি গবেষণার পর জানা গেছে, এই পৃথিবীতে কার অস্তিত্ব আগে! মুরগি নাকি ডিম!
এনপিআর নামক এক মার্কিন ওয়েবসাইট জানিয়েছে, বহু পুরনো এই ধাঁধার উত্তর। আর সেটা অনেকদিন ধরে চলা গবেষণার ফসল। মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট ক্রুলউইচ এই নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছেন কয়েক বছর ধরে।
সেই ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, কয়েকশে’ বছর আগে পৃথিবীতে ছিল মুরগির মতো দেখতে একটি বড় আকারের পাখি।
সেই পাখির সঙ্গে মুরগির জিনগত মিল ছিল। কিন্তু সেটি মুরগি ছিল না।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, সেটি ছিল এক ধরনের ‘প্রোটো-চিকেন’। সেই পাখি একটি ডিম পেড়েছিল। সেই ডিমে মুরগির পুরুষসঙ্গী কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করে।
তারপর আরও কিছু বিবর্তনগত পরিবর্তন ঘটে সেই ডিমে। সেই পরিবর্তন তখনকার সেই পুরুষ কিংবা নারী মুরগির জিন থেকে বেশ কিছুটা আলাদা।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ওই ডিম ফুটে যে বাচ্চা বেরিয়েছিল সেই নতুন প্রজাতির পাখিই আজকের মুরগির আদি এবং প্রকৃত পূর্বপুরুষ। এরপর কয়েক হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে মুরগির শরীরে বহু পরিবর্তন হয়েছে। সেই মুরগির সঙ্গে এখনকার মুরগির হয়তো পার্থক্য অনেক।
তবে ডিমের মধ্যে মিউটেশন ঘটে যাওয়ার ফলে সেই আদি মুরগির জন্ম হয়েছিল। তার মানে সেই ডিমের আগে কোনও মুরগি ছিল না। অর্থাৎ ডিম-ই আগে, মুরগি এসেছে পরে।
রচনাকাল : ২৮/৮/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।