আশ্চর্য নয় সত্য......অবাক হলেও সত্য ঘটনা
তৃতীয় খণ্ড (তৃতীয় পরিচ্ছেদ)
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
শরীরের সব পোশাক খুলে থাইল্যান্ডের একটি বৌদ্ধ মন্দিরের উপরে উঠে পড়লেন ফারাহ হক (২৮) নাকে এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে তিনি অতিরিক্ত মদ পান করেছিলেন। নেশার ঘোরে দড়নিজের শরীরের সব পোশাক খুলে এ কাজটি করেছেন।
মন্দিরের উপরে উঠেই ক্ষেন্ত হননি। স্থানীয় থাই বাসিন্দাদের সামনেই তীব্র চিৎকার করে তিনি স্লোগান দেন ও তারস্বরে চিৎকার শুরু করেন। এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে।
ব্রিটেনের ডেইলি মেইল বলছে, এই কেলেঙ্কারি যিনি করেছেন তিনি থাইল্যান্ডের একজন পর্যটক হিসেবে প্রবেশ করলেও বর্তমানে তিনি ইংরেজী শিক্ষক। এছাড়া ডেইলি মেইল দাবি করছেন তিনি একজন বাংলাদেশি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি থাইল্যান্ডের উত্তর ভাগের একটি বৌদ্ধ মন্দিরে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় উঠে পড়েন। এমনকি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরাও পড়ে। তাঁর হাতে ছিল একটি বিয়ারের ক্যান।
ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে উঠে ওই নারী পথচারীদের উদ্দেশ্যে চিতকার করছেন। বলা হচ্ছে, এ সময় তিনি অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করিছেলন। এরপরেই সেখানে পুলিশ এসে উপস্থিত হয় এবং ওই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় প্রুং সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে। ক্যামেরায় ওই নারীকে সম্পুর্ণ নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়। এ সময় তিনি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করছিলেন।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, প্রথমে এই নারী পর্যটক হিসাবে সে দেশে ঢোকেন। কিন্তু এপ্রিল থেকে তিনি একজন ইংরেজ শিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, থাইল্যান্ডের একটি হোটেলেই থাকেন তিনি।
পুলিশ আরও বলছে, তাঁদের সন্দেহ ওই নারী মাতাল হয়ে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। যারফলে এমন কাণ্ড ঘটেছে। পুলিশের বক্তব্য। “আমাদের প্রথম কাজ ছিল তাঁকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া, যাতে তাঁকে চিকিৎসক পরীক্ষা করতে পারেন।”
রচনাকাল : ২৮/৮/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।