আশ্চর্য নয় সত্য......অবাক হলেও সত্য ঘটনা
দ্বিতীয় খণ্ড (তৃতীয় পরিচ্ছেদ)
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
মেয়ের বিয়েতে যৌতুক ২১ টি বিষাক্ত সাপ।
শাড়ি গয়না দেওয়ার দরকার নেই, শুধু সাপ ধরে আনলেই হবে! শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্যি। ভারতবর্ষেরই এক অখ্যাত অঞ্চলে আজও এই রীতি রমরমিয়ে চলছে। মধ্যপ্রদেশের গৌড়ীয় সমাজে কন্যাদানের নিয়মই নাকি এই, এই শুভ কাজে সাপ উপহার দেওয়ার রেওয়াজ চলে আসছে কয়েক শতাব্দী ধরে। সর্পদেবতা দুষ্ট হলেই নাকি মেয়ের বিবাহিত জীবন সুখের হয়।
গৌড়ীয় সমাজের মেয়ের বিয়ে ঠিক হলেই বাবার ওপর বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ে। বিয়ের খরচখরচা জোগাড় তো রয়েছেই। তবে তার থেকও বড় দায়িত্ব সাপ ধরা। যে সে সাপ হলে আবার চলবে না। নিরীহ হেলে নয়, লাগবে কেউটের মতো বিষধর সাপ। বেছে বেছে এমন সাপ জোগাড় করতে হবে, যার বিষ শরীরে গেলে মুহূর্তেই মৃত্যু হতে পারে। এই ভয়ঙ্কর রেওয়াজেই বছরের পর বছর মজে আছে এখানকরা মানুষ।
অবশ্য গৌরীয়দের জন্য সাপ ধরাটা খুব কঠিন কাজ নয়। কারণ মধ্যপ্রদেশে যারা গৌড়ীয়, তারাই বেদে বলে পরিচিত আমাদের এই রাজ্যে। অর্থাত্ সাপ ধরার করণকৌশল তাদের বিলক্ষণ জানা। বিয়ের কিছুদিন আগেই সাপধরা সাঙ্গ হয়ে যায়। মেয়েদের বিদায় জানানোর সময় সঙ্গে ওই বিষধর সাপ দিয়ে দেন তারা। বলাই বাহুল্য বেদে সমাজে সাপ মারা গর্হিত অপরাধ। এক্ষেত্রে মেয়ের সঙ্গে নতুন জায়গায় যে সাপ যাবে তার যদি কোনও ভাবে মৃত্যু হয় ,তবে তাকে অশুভ বলে ধরা হয়। অর্খাত্ বিয়ে করলেই সাপের দায়িত্ব নিতে হবে।
রচনাকাল : ২৬/৮/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।