আশ্চর্য নয় সত্য......অপ্রিয় হলেও সত্য ঘটনা (নবম পরিচ্ছেদ)
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
৪০ বছর ধরে প্রেমিকার অপেক্ষায় সরু
ভালোবাসা, পাওয়া-না পাওয়া আর মিলন-বিরহের এক মিশ্র অনুভূতি। কখনো বন্ধুর পথ মাড়িয়ে প্রিয় মানুষকে কাছে পাওয়ার নাম ভালোবাসা। আবার কখনো প্রিয়জনকে হারিয়ে দুঃখের নীল তিমিরে বসবাসের নামান্তর। মিলনের প্রত্যাশায় ব্যাকুল আর মায়ার বাঁধনে জড়ানো এই ভালোবাসার প্রতীক্ষা জনম জনম।
৬০ বছর বয়সী আবু তালেব সরুর কাছে ভালোবাসার নাম হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটির জন্য ৪০টি বসন্ত ধরে অপেক্ষা। সরু-বেলার প্রেম ও বিচ্ছেদের সাক্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা।
১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়ার সময় সরুর প্রেম হয় সহপাঠী বেলার সঙ্গে। কিন্তু একসময় পরিবারের চাপে বেকার সরুকে ফেলে বেলা বিয়ে করেন আরেকজনকে। তাই বেলার অপেক্ষায় ৪০ বছর ধরে জহুরুল হক হলের বারান্দায় থাকেন সরু। তার বিশ্বাস কোনো না কোনো দিন এই হলেই তাকে খুঁজতে আসবে তার সেই হারিয়ে যাওয়া বেলা। তখন বেলাকে নিয়ে তার জীবন নতুন করে সাজাবেন তিনি।
আবু তালেব সরু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় সে যদি দেরি করেও আসত, সে আমার কাছে এসে বসত। আমার বিশ্বাস সে আমাকে খুঁজতে আসবে।
সরুর জীবনে ভালবাসার রং ফিকে হয়ে এলেও ভালোবেসে প্রিয়জনকে পাওয়ার আশায় নানা দুর্গম পথ পাড়ি দিতে পিছপা নন কেউ। নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে প্রিয়জনকে পাওয়ার মধ্যেই পরম আনন্দ। এখানেই স্বর্গীয়-অপার্থিব সুখও।
এক নারী বলেন, প্রেম জীবনে অনেক বাধা-বিপত্তি আসে। তারপরও প্রিয় মানুষের সঙ্গেই থাকতে চাই। আর প্রিয় মানুষকে যখন পেয়ে যায়, এটা আসলেই একটা অসাধারণ অনুভুতি।
ভালোবাসার মানুষটিকে আগলে রাখার পাশাপাশি তাকে নিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে মান-অভিমান ভুলে ত্যাগের কোনো জুড়ি নেই বলেও মনে করেন তারা।
আপনি সত্যি মানুষের মূত্রই পান করেছেন
সারা বিশ্বে কত রকমের বিচিত্র জিনিস রয়েছে যা শুনলে অবাক হতে হয়। তিমি মাছের বমি, আমেরিকার বিশেষ ধরনের কাঠবেড়ালির মল থেকে তৈরি কফি ও উপাদেয় খাবার বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুলও বটে। বিশ্বের সব প্রান্তেই বিয়ারপ্রেমীর অভাব নেই। ঠান্ডা বিয়ারের বোতল নিয়ে কেত মারাও এখনকার দিনে ট্রেন্ড! সত্যিকারের বিয়ায়প্রেমীদের কাছে এই প্রতিবেদন ভাল না মন্দ জানা নেই, তবে বিয়ার পান করার শেষে যদি জানতে পারেন সেই বিয়ারটি আদতে মানুষের মূত্র থেকে তৈরি করা হয়েছে, তাহলে? একেবারেই সত্যি ঘটনা। এমনটা যে হতে পারে, তা খুব কম সংখ্যক মানুষই জানেন। পিসনার বিয়ার (Pisner beer) পান করলে জানবেন, আপনি সত্যিকারে মানুষের মূত্রই পান করেছেন।
পিসনার (Pisner)নামটি এসেছে পিস( Pis) থেকে। যার অর্থ হল মূত্র। কিছু রিপোর্ট জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে, একটি কোম্পানি একটি মিউজিক কনসার্ট থেকে ৫০ হাজার লিটার মানুষের মূত্র সংগ্রহ করে। শুধুমাত্র ওই সংস্থার মূল লক্ষ্য ছিল তাদের বিয়ার লঞ্চ করাবেন বলে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা যখন বিয়ার লঞ্চ করেছি, তখন বেশিরভাগ মানুষ ভাবতেন যে, মানুষের মূত্র সরাসরি বিয়ার হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটা এখানে একটু আলাদা। আমরা সত্যিই মানুষের মূত্র ব্যবহার করে বিয়ার বানাই, কিন্তু সেটি অত্যন্ত জটিল একটি পদ্ধতিরে মাধ্যমে বিয়ার তৈরি করা হয়।’
একই সঙ্গে বলা হয়েছে, বিয়ারের স্বাদে যদি কখনও ইউরিনের গন্ধ বা স্বাদ পাওয়া যায়, তাহলে সেই মুহূর্তেই আমরা বিক্রি করা বন্ধ করে দেব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনা ঘটেনি। অপরদিকে, ড্যানিস কাউন্সিল অফ এগরিকালচার অ্যান্ড ফুডের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মানুষের বর্জ্যদ্রব্য ব্যবহার করতে গেলে দরকার বিশাল ও উন্নতমানের ফার্টিলাইজার গঠন করার ধারণা। যাকে আমরা বিয়ারসাইক্লিং বলে থাকি।’
রচনাকাল : ২৫/৮/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।