আশ্চর্য নয় সত্য......অপ্রিয় হলেও সত্য ঘটনা (চতুর্থ পরিচ্ছেদ)
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
মানুষের পেটের ভেতর আস্ত একটি মোবাইল ফোন।
অবাক শোনা গেলেও এটাই সত্যি। গত সাত মাস ধরে মোবাইল ফোনটি ছিল এক যুবকের পেটের মধ্যেই। সম্প্রতি যুবকের পেটে করা হয় আলট্রাসনোগ্রাফি। আর সেই রিপোর্ট আসতেই চিকিৎসকদের চোখ কপালে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হাসপাতালে।
জানা যায়, পেটে প্রবল ব্যথা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন ওই যুবক। হঠাৎ কেন ব্যথা তা কিছুতেই প্রথমে অনুসন্ধান করতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা। এরপরেই ওই যুবকের পেটে আলট্রাসনোগ্রাফি করার কথা বলেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এরপরেই করা হয় আলট্রাসনোগ্রাফি।
এরপর রিপোর্ট দেখে রীতিমত চিকিৎসকরা হতবাক হয়ে যান। আস্ত একটি মোবাইল ফোন কিনা ২৮ বছরের ওই যুবকটির পেটের ভেতর দেখতে পান তারা। গত সাত মাস ধরেই ওটি পেটের মধ্যেই ছিল। সহকর্মীদের সঙ্গে মজা করতে গিয়ে এটি গিলে ফেলেছিল বলে চিকিৎসকদের জানায় যুবকটি। তার ধারণা ছিল এটি সে হজম করে ফেলতে পারবে।
১১৬ বছর বয়সে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা সুভাষ চন্দ্র বসু মানেই যেন রহস্য। আজও তার অন্তর্ধান রহস্যের কিনারা হয়নি৷ অনেকে মনে করেন স্বাধীনতার পর জীবনের শেষ দিনগুলি নেতাজি গুমনামী বাবার ছদ্মবেশে উত্তরপ্রদেশে কাটিয়েছিলেন৷ তবে এবার নেতাজি নন, তার ড্রাইভার শিরোনামের কারণ।
নেতাজির ড্রাইভার কর্নেল নিজামুদ্দিনের বয়স ১১৬ বছর। এই বয়সে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে শিরোনামে উঠে এলেন তিনি৷ কলকাতার সংবাদমাধ্যম কলকাতা২৪x৭ এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায় একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে যান সইফুদ্দিন ওরফে নিজামুদ্দিন৷ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে তিনি যে সকল ডকুমেন্ট জমা দেন, তা দেখে তারা হতবাক৷ ভোটার আইডিকার্ড অনুযায়ী, নিজামুদ্দিনের জন্ম ১৯০০ সালে৷ অর্থাৎ তার বয়স ১১৬ বছর, তিন মাস, ১৪ দিন৷
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১১৪ বছর বয়সে মারা যান জাপানের এক বৃদ্ধ৷ মনে করা হচ্ছিল তিনিই বিশ্বের প্রবীণতম নাগরিক৷ কিন্তু নিজামুদ্দিনের ভোটার কার্ড সব হিসাব উলটে দেয়৷ অর্থাৎ নিজামুদ্দিনই বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ৷শুধু এটাই নয়, তিনিই নেতাজির গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন বলে দাবি৷
প্রেতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, নিজামুদ্দিনের স্ত্রী আজবুনিশাও বেঁচে রয়েছেন৷ তার বয়স বর্তমানে ১০৭ বছর৷ ব্যাংকে দুজনে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেছেন বলে জানা গেছে৷
যে শহরের সবকিছুই ১১ সংখ্যার, ঘড়িতেও নেই ১২টার কাঁটা
সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্য সবাইকেই মুগ্ধ করে। এ কারণে বিশ্ববাসীরা সুন্দর এই দেশে যাওয়া স্বপ্ন বুনেন। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় জমান সুইজারল্যান্ডে। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে নয় সব বিচারেই দেশ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা পেয়েছে ইউরোপের ছোট্ট এই দেশটি।
সুইজারল্যান্ডের আয়তনের ৭০ শতাংশ ঘিরে রয়েছে আল্পস পর্বতমালা। সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু পর্বতের নাম মন্টি রোজা। সুইজারল্যান্ডে বার্নের পুরাতন শহর, সাধু গলের মঠ এবং মন্টি স্যান জিওরজিও সহ ১১টি ইউনেস্কো ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম প্রান্তের এক শহরের নাম সোলোথার্ন। পর্যটকরা এই শহরে ঢুকেই থমকে যান টাউন স্কয়ারের সামনে থাকা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে। কারণ সোলোর্থান শহরের মূল কেন্দ্রেই দেখা মিলবে রহস্যময় এক ঘড়ির।
যা অন্যান্য ঘড়ি থেকে ভিন্ন। সাধারণত সব ঘড়িতে এক থেকে ১২টার কাঁটা থাকে। তবে সোলোর্থানের এই রহস্যময় ঘড়িতে আছে শুধু ১১টি কাঁটা। সেই হিসাবে এ শহরের ঘড়িতে কখনও বাজে না ১২টা। তবে ১২টার কাঁটা নেই কেন?
জানলে অবাক হবেন, শুধু এ শহরের ঘড়ি নয়, অনেক কিছুতেই ১১ সংখ্যার নিদর্শন পাওয়া যায়। যেমন- এ শহরে আছে ১১টি জাদুঘর, ১১টি গির্জা, ১১টি ঝর্ণাসহ আরও অনেক কিছু। তবে ১১তেই কেন সবকিছু সীমাবদ্ধ হয়ে আছে শহরটি?
ইতিহাস অনুযায়ী, একাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এই নগরীতে ইলভ নামে এক জার্মান আসেন। যিনি এই নগর প্রতিষ্ঠা করেন। তার অবদানের জন্য ইলভ সোলোথার্নবাসীর সমর্থন পেয়েছিলেন। এ কারণে ইলভের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ইলেভেন সংখ্যায় বিভিন্ন নিদর্শন তৈরি করা হয়।
সেই থেকে এই ধারা চলমান আছে। শুধু ইলভের ঘটনাই নয় ১১ সংখ্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক ঘটনা আছে সোলোর্থানে। ১২১৫ সালে যখন এই শহরে কাউন্সিলর নির্বাচন হয় তখন ১১ জনকে নির্বাচন করা হয়েছিল।
১৪৮১ সালে সোলোথার্ন কে সুইস কনফেডারেশনের ১১ তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত করা হয়। ওই সময় ১১ জনক শহরের রক্ষাকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর ১৫ শতকের শুরুতে সেইন্ট আরসু গির্জা নির্মাণ করা হয়।
এ গির্জায় ছিল ১১টি দরজা, ১১টি জানালা, ১১টি রো, ১১টি ঘণ্টাসহ ১১ ধরনের পাথরের ব্যবহার। এসব কারণেই সোলোর্থান শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যার সম্পৃক্ততা ৫০০ বছর ধরে। তাইতো এ শহরবাসীর মনে ১১ সংখ্যার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে।
সূত্র: বিবিসি/টেলিরিপোর্ট
রচনাকাল : ২৩/৮/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।