আশ্চর্য নয় সত্য......অপ্রিয় হলেও সত্য ঘটনা (প্রথম পরিচ্ছেদ)
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
চীনের আকাশে তিন সূর্য
গেলো অক্টোবরে চীনের মোহে শহরের বাসিন্দারা এমন এক ঘটনার সাক্ষী হলেন। শহরের বাসিন্দারা সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন মাথার উপর জ্বলজ্বল করছে গোটা তিনেক সূর্য। এমনটাও হয় নাকি?
অবশ্য বিজ্ঞান দিয়েছে তার উত্তর। দৃষ্টিভ্রমের কারণেই এমনটা মনে হয়। তিন সূর্যের মাঝখানের সূর্যটাই আসল সূর্য। ফলে মূলত একটি সূর্যই আমরা দেখি আর পাশের দুই সূর্য হলো তার প্রতিফলন। সূর্যের আলোর প্রতিফলনে আলাদা দুটি আলোকবিন্দু তৈরি হওয়ার এ ঘটনাকে বলা হয় সান ডগ। মূলত বায়ুমণ্ডলে মেঘের মধ্যে থাকা বরফে সূর্যের আলোর প্রতিফলিত হলেই আকাশে আরও আলোকবিন্দু তৈরি হয়। আর খালি চোখে দেখে মনে হয় যেন আরও কয়েকটি সূর্য।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিচে গোপন পথ
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নিচে পাওয়া গেছে ১৭ শতাব্দীতে তৈরি গোপন প্রবেশপথ। ২৬ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট নতুন এই দরজার খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি সবাইকে অবহিত করে। পার্লামেন্ট জানায়, এটা ১৬৬১ সালে তৈরি করা হয়েছিল রাজা দ্বিতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের জন্য।
প্রকল্পটির ইতিহাস বিষয়ক পরামর্শক প্রফেসর লিজ হ্যালাম স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড আর্কাইভে আমরা প্যালেস সংশ্লিষ্ট ১০ হাজারের বেশি নথিপত্র ঘাঁটছিলাম—যেগুলো এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি। এগুলোর মধ্যে আমরা ওয়েস্টমিনিস্টার হলের পেছনে প্রবেশপথের নকশা খুঁজে পাই।’
পরে আর্কিটেকচার অ্যান্ড হেরিটেজ টিম সাড়ে এগারো ফুট উঁচু দু’টি কাঠের দরজার অবস্থান শনাক্ত করতে সমর্থ হয়। আর দুই দরজার মাঝে পাওয়া যায় ছোট্ট একটি ঘর।
মদত্যাগ করেন তিনি
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে এক নারীর সন্ধান পাওয়া গেছে, যিনি তার মূত্র বা প্রস্রাব দিয়ে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। গবেষণাগারে তার প্রস্রাব পরীক্ষা করে দেখা গেছে, আর দশ জন মানুষের মতো স্বাভাবিক প্রস্রাব নয়, তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসছে অ্যালকোহল বা মদ!
যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গের বাসিন্দা ওই নারী শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এটা-ওটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়েই দেখা গেছে, তার শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই ইস্ট ফারমেন্টেশনের মাধ্যমে তৈরি হয় অ্যালকোহল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার মূত্রথলি থেকে যা বেরিয়ে আসে, তা মদ।
গবেষকরা এই সমস্যার নাম দিয়েছেন ‘ব্লাডার ফারমেন্টেশন সিনড্রোম’। এই অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে কখনো অ্যালকোহল পান না করলেও শরীরে তৈরি হবে অ্যালকোহল। মূলত শরীরের কার্বোহাইড্রেটগুলো বিরল এক ধরনের বিক্রিয়ার মাধ্যমে মূত্রথলিতে এই অ্যালকোহল উৎপাদন করে থাকে।
রচনাকাল : ২৩/৮/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।