স্বাধীন ভারত ও স্বাধীনতার সংগ্রাম (তৃতীয় পর্ব)
আনুমানিক পঠন সময় : ২ মিনিট

লেখক : লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেশ : India , শহর : New Delhi

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০১৯ , সেপ্টেম্বর
প্রকাশিত ৯৩৫ টি লেখনী ৭১ টি দেশ ব্যাপী ২৩৬১৭০ জন পড়েছেন।
স্বাধীন ভারত ও স্বাধীনতার সংগ্রাম (তৃতীয় পর্ব)
তথ্য সংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

কানাইয়ালাল মানিকলাল মুন্সি 
কানাইয়ালাল মানিকলাল মুন্সি বেশি পরিচিত ছিলেন কূলপতি নামে। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের অন্যতম এই সেনানির হাতেই গড়ে উঠেছিল ভারতীয় বিদ্যাভবন। আন্দোলন করতে গিয়ে জীবনে বহুবার গ্রেফতার হয়েছেন কূলপতি। কিন্তু তাও আন্দোলনের পথে থেকে তাঁকে সরাতে পারেনি ব্রিটিশ সরকার। দেল থেকে বেরিয়ে আবার নেমে পড়েছেন স্বাধীনতার আন্দোলনে।

কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় 
ভারতের আইনসভায় স্থান পেতে প্রথম যে মহিলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি হলেন কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়। আবার ব্রিটিশ সরকারের হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রথম ভারতীয় মহিলাও তিনিই। ভারতের সমাজ সংস্কারের তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে তিনি থিয়েটার, হ্যান্ডলুম, হ্যান্ডিক্র্যাফ্টকে হাতিয়ার করেছিলেন। 

গরিমেল্লা সত্যনারায়ণ 
প্রায় একার হাতে অন্ধ্রের বাসিন্দাদের স্বাধীনতার লড়াইতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন গরিমেল্লা সত্যনারায়ণ। তাঁর লেখা অসংখ্য দেশাত্মবোধক কবিতা গান অন্ধ্রবাসীকে তাতিয়ে তুলেছিল ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে। 

তিরুপুর কুমারণ 
দেশ বন্ধু ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিরুপুর কুমারণ। ১৯৩২ সালের ১১ জানুয়ারি এক মিছিলে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ব্রিটিশ পুলিশ। ভারতের জাতীয় পতাকাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু কুমারণ সেই পতাকা হাতেই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। এমনকী মৃত্যুর পরও তাঁর হাতে শক্ত করে ধরা ছিল সেই পতাকা। 

রাজকুমারী গুপ্ত 
তিনি ও তাঁর স্বামী দুজনেই মহাত্মা গান্ধী ও চন্দ্রশেখর আজাদের অনুগামী ছিলেন। কাকরির ট্রেন লুন্ঠনের ঘটনায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিপ্লবীদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। সে কাজে তিনি সফলও হন। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি তিনি জামাকাপড়ের নিচে লুকিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের সন্দেহমুক্ত হতে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন ৩ বছরের পুত্রকেও। পরে অবশ্য ধরাও পড়ে যান। দুর্ভাগ্যের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁকে অস্বীকার করা হয় তাঁর শ্বশুর বাড়ি থেকে। 

ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সেহগল 
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ বাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন লক্ষ্মী সেহগল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনার হয়ে লড়াই করার অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। সুভাষচন্দ্র বসু মহিলা সেনাদেরও নিয়েগ করছেন শুনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন লক্ষ্মী। তাঁকে মহিলাদের নিয়ে 'ঝাঁসির রানী রেজিমেন্ট' গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন নেতাজী। সেই বাহিনীর ক্যাপ্টেন করা হয় তাঁকে। 

বীরসা মুন্ডা 
মাত্র ২৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় বীরসা মুন্ডার। কিন্তু এই স্বল্পজীবনেই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই আদিবাসী নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছিল সাঁওতাল বিদ্রোহ। যা ১৯ শতকের শেষভাগে বর্তান বিহার-ঝাড়খণ্ড এলাকার সমস্ত আদিবাসী জনজাতিগুলিকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিল। 

রচনাকাল : ১৪/৮/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 1  Germany : 3  India : 30  Russian Federat : 2  Ukraine : 1  United States : 37  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 1  Germany : 3  India : 30  Russian Federat : 2  
Ukraine : 1  United States : 37  
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
স্বাধীন ভারত ও স্বাধীনতার সংগ্রাম (তৃতীয় পর্ব) by Lakshman Bhandary is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৩৬২৭৭১
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী