আগন্তুক
মেঘনাদ দত্ত
কবেকার কোন এই প্রাগৈতিহাসিক সৃষ্টি
মাপা হাসি চাপা কান্নায় মোড়া, এই মানুষ।
একটি তরুণ, একজন তরুণী, কিংবা
ওই যে দেখা যায় দূরের ঐ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
শিরার ভাঁজে ভাঁজে বর্ণিত অভিজ্ঞ ইতিহাস।
মিহিন বাতাসের চাঁদ ভাসি রাতের নিয়ন আলোয়
নির্জন বারান্দায় কাটাকুটি খেলছে,
নিজেদের মন নিয়ে।
তারা ভাবছে, মাপা হাসছে।
কাঁদছে......... কিন্তু............
ঘুমিয়ে থাকা চাপা কান্নাগুলো আজ মৃত গোরোংগোরো।
এরা সকলেই বেরিয়েছিল দেখতে,
নদীদের লীন হওয়া সমুদ্রে কিংবা হ্রদে।
কারোর দেখা হয় নাই,
ফিরেও দেখে নাই।
তারা তাদের অন্দরের আর এক মানুষ প্রতিমূর্তি হতে
বহু দূরে,দূর নিমেষহীন নীহারিকায়।
নদীর দুই তীরের মত
তারা ছিল........।
ঢেউয়ের ক্ষতে দুলতে দুলতে
অন্দরের প্রতিমূর্তিটি দুই তীরের মতো
নিমেষহীন, পলকহীন, গন্তব্যহীন ফেনার গম্বুজ।
ডানা-মোড়া পাখির চোখের নরম চাহনি চেয়ে
তারা আত্ম-অন্বেষনে।
তারা নিজেরা, একে অপরের কাছে আজ আগন্তুক।
রচনাকাল : ৩/৭/২০২১
© কিশলয় এবং মেঘনাদ দত্ত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।