পৌষ পার্বণে পিঠে ,পুলি,নলেন গুড়ের পায়েস
খেতে বড়ো মজা রে ভাই বসে করে আয়েস।
মা, ঠাকুমার তৈরী পিঠে স্বাদে চমৎকার
আসকে,গোকুল, চন্দ্রপুলি রকমারি বাহার।
ভোরবেলা স্নান সেরে দেন দাওয়ায় আল্পনা
গৃহদেবতার পূজা করেন সারেন আরাধনা।
কাঠের চুলায় আগুন জ্বালান মিঠে রোদে বসে
খেজুর রসের হাঁড়ি বসিয়ে ঠাকুমা থাকেন পাশে।
প্রতি বছর পৌষ পার্বণে আসেন টুনি পিসী
গাঁয়ের থেকে আনেন তিনি ঝোলা গুড়ের শিশি।
নিপুণ হাতে টুনি পিসী বানান রসবড়া
চিতই পিঠে বানাতে তিনি আনেন মাটির সরা।
জয়নগরের মোয়া নিয়ে আসেন হাসি মাসী
তাঁর আদর মাখা মিষ্টি মোয়া দারুন ভালোবাসি।
পাটিসাপটার পেটের ভিতর কত রকম পুর
দুধে,গুড়ে চন্দ্রপুলি আহা!কি সুমধুর।
পিঠের গন্ধে বাতাস ভরে শীতের মরসুমে
পিঠেরা যেন স্বপ্নে আসে শীতের আরাম ঘুমে।
মা, ঠাকুমার স্নেহের পুর আর আবেগ মিশানো পিঠে
অনুভূতির পরশ লেগে হয় যে বড়ো মিঠে।
রচনাকাল : ২০/৬/২০২১
© কিশলয় এবং যুথিকা দেবনাথ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।