লীলা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীশ্রীকৃষ্ণ
আনুমানিক পঠন সময় : ৭ মিনিট

লেখক : সনৎকুমার পুরকাইত
দেশ : India , শহর : ডায়মন্ডহারবার

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০২০ , জুন
প্রকাশিত ৯৭ টি লেখনী ৪১ টি দেশ ব্যাপী ৩৮৪৪১ জন পড়েছেন।
Sanat Kumar Purkait
গল্পের নায়ক যেখানে কৃষ্ণ সেখানে বলে রাখা ভালো আধ্যাত্মিক নয়ন না থাকলেও যদি কেউ তাঁর বিবেক ও দর্শন দিয়ে তাঁর চেতনাকে জাগ্রত করতে পারে তবেই এই নায়ক শ্রীকৃষ্ণকে উপলব্ধি করতে পারবেন। তাঁকে জানলে পরে হিন্দু সনাতনধর্ম গ্রহণ না করেও সঠিক জীবনধারায় নিজেকে মেলে ধরা যাবে। ‘কৃষ্ণঃ’ – এই নামের ‘ক’ হল ব্রহ্মবাচক, ‘ঋ’ কার হল অনন্তবাচক, ‘ষ’ কারে শিববাচক, ‘ণ’ কারে ধর্মবাচক এবং ‘অ’ কারে শ্বেতদ্বীপনিবাসী বিষ্ণু বোঝায় ও বিসর্গে নরনারায়ণ বোঝায়। ইনি সকল তেজের রাশি সর্বমূর্তিস্বরূপ, সর্বাধার ও সকল বীজস্বরূপ। তাই তো তিনি কৃষ্ণ। পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ হলেন বিচক্ষন রাজনীতিবিদ্‌, প্রেমিক পুরুষ, দায়িত্ব ও কর্তব্যে নিষ্ঠাবান। তিনি অনেক গুণের অধিকারী। তাঁকে জানতে গেলে আপনাকে কর্ষণ করতে হবে জ্ঞানকে। সমালোচনা বা মূল্যায়ন করতে গেলে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে হয়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে হয় নিবিড়ভাবে। আজকের বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান জীবশ্রেষ্ঠ মানুষ শ্রীকৃষ্ণকে কাল্পনিক পুরুষ বলে মনে করেন। অনেকেই তাঁর দর্শনকে না জেনেই পরিত্যাগ করেছেন। এটা সেই মানবজাতির মুর্খামি ছাড়া আর কিছুই না। আজকের দিনে আধুনিক সভ্যতার মানুষ হয়েও শ্রীকৃষ্ণতত্ত্ব সমানভাবে সমাদৃত। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের ঠিকুজী কুষ্ঠী বিচার না করেই বলা যেতে পারে আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে যে ধ্যান ধারণার জন্ম দিয়ে তিনি সারা বিশ্বের চেতনায় এক অলৌকিক জায়গা করে নিয়ে আজও স্বমহিমায় ভাস্বর তা কিন্তু ভাববার বিষয়। তাই তাঁকে নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার পূর্বে তাঁকে অনুভব করার মতো শক্তি, ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, চেতনা আর নির্মল চিত্ত প্রয়োজন।

হিন্দুধর্মে চার যুগ অর্থাৎ সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগের কথা বলা হয় আর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন এই দ্বাপরের অবতার। এই দ্বাপর যুগে তিনি আসেন লীলাবিলাসী বৃন্দাবনচন্দ্র ভগবান পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ হয়ে। জন্মগ্রহণ করেন অত্যাচারী কংসের কারাগারে, সম্পর্কে মামা হলেও জন্ম থেকে শত্রু থাকায় জন্মের পর মুহূর্তেই বাবা মা থেকে দূরে সরে যেতে হয় তাঁকে। আবার শিশুকাল থেকে পূতনা, বকাসুরসহ একগুচ্ছ অশুভশক্তিকে দমন করতে হয় সে কথা পাঠকের জানা। তাঁর কালীয়দমন বা গিরিগোবর্ধন পর্বত ধারণের মধ্যে যে মাহাত্ম্য তা ছেড়ে যারা তাঁর সখীসনে লীলা নিয়ে ব্যঙ্গ করেন, তাঁদের জেনে রাখা উচিত কৃষ্ণের যতেক খেলা সর্বোত্তম নরলীলা, নরবপু তাঁহার প্রকাশ। তিনি শিশুকাল থেকে অপ্রকট হবার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত জীবশিক্ষা দেবার জন্য বিভিন্ন লীলা করেছেন। কিন্তু মূর্খের দল তাঁর অর্থ না জেনে ভুল ব্যাখ্যা করে থাকেন। তাঁর বৃন্দাবনলীলা, মথুরালীলা আর দ্বারকাশাসনের মধ্যে শ্রীমতী রাধিকা বা গোপীলীলা করেন বৃন্দাবন ও মথুরায় যেটা তাঁর শৈশবকালের ঘটনা। যখন দেহে মনে কামের বাসনা জাগ্রত হয় না, সেসময় তাঁর এই লীলার মধ্যে জ্ঞানান্ধ জীব কামের খোঁজ করেন। তিনি বৃন্দাবন ত্যাগ করেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। তারপর থেকে তিনি ১২৫ বছর বেঁচে থাকলেও তিনি আর বৃন্দাবনে প্রত্যাবর্তন করেন নি অর্থাৎ তাঁর রাধারানী বা গোপীদর্শন পূর্ণ যৌবনের ঘটনা একেবারেই নয়।

তাছাড়া তিনি কামনা, বাসনার উর্ধে উঠে তিনি হয়েছেন পুরুষোত্তম। কাম কে জয় করে হয়েছেন মদনমোহন। তাঁর অগণিত গুণাবলীর জন্য রমণীগণ তাঁর সাথে মিলতে চাইত। বিশ্বপ্রপঞ্চের সকল প্রকৃতি সেই পুরুষের শ্রেষ্ঠ পুরুষ শ্রীকৃষ্ণের সন্ধান করে আসছেন আজ পাঁচ হাজার বছর ধরে। অদ্ভুত এক সন্মোহিনী ক্ষমতা তাঁর মাঝে বিরাজমান। তাই তো তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর ৬৪ গুণ বর্তমান ছিল যা আর কোন দেবতা বা কোন অবতারের মধ্যে পাওয়া যায় নি, যথা- (১) তাঁর সমস্ত শরীর অপূর্ব মাধুর্য মণ্ডিত (২) সমস্ত শুভ লক্ষন যুক্ত (৩) অত্যন্ত মনোরম (৪)জ্যোতির্ময় (৫)বলবান। (৬) নিত্য নব-যৌবন সম্পন্ন (৭) সমস্ত-ভাষায় পারদর্শী (৮) সত্যবাদি (৯) প্রিয়ভাষী (১০) বাকপটু (১১) পরম পণ্ডিত (১২) পরম বুদ্ধিমান (১৩) অপূর্ব প্রতিভাশালী (১৪) বিদগ্ধ শিল্পকলায় পারদর্শী (১৫)অত্যন্ত চতুর (১৬) পরম দক্ষ (১৭) কৃতজ্ঞ (১৮) দৃঢ় প্রতিজ্ঞ (১৯) স্থান ,কাল ও পাত্র বিচারে সুদক্ষ (২০) বৈদিক তত্ত্বজ্ঞানে পারদর্শী (২১) পবিত্র (২২) সংযত (২৩) অবিচলিত (২৪) জিতেন্দ্রিয় (২৫) ক্ষমাশীল (২৬) গম্ভীর (২৭) আত্ম-তৃপ্ত (২৮) সমদৃষ্টি সম্পন্ন (২৯) উদার (৩০) ধার্মিক (৩১) বীর (৩২) কৃপাময় (৩৩ )শ্রদ্ধাবান (৩৪) বিনীত (৩৫) বদান্য (৩৬) লজ্জাশীল (৩৭) শরণাগত জীব-এর রক্ষক (৩৮) সুখী (৩৯) ভক্তদের হিতৈষী (৪০) প্রেমের বশীভূত (৪১) সর্বমঙ্গলময় (৪২) সর্বশক্তিমান (৪৩) পরম যশস্বী (৪৪) ভক্তবৎসল (৪৫) সমস্ত স্ত্রী জনের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয় (৪৬) সকলের আরাধ্য (৪৭) জনপ্রিয় (৪৮)সমস্ত ঐশ্বর্য-এর অধিকারী (৪৯) সকলের মাননীয় (৫০) পরম নিয়ন্তা। উল্লেখিত ৫০ টি গুন ছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরও ৫ টি অতিরিক্ত গুন আছে যা কিছুটা ব্রহ্মা ও শিবেরও আছে ৫১) অপরিবর্তনশীল ৫২) সর্বজ্ঞ ৫৩) চির নবীন ৫৪) সৎ, চিৎ ও আনন্দময় ৫৫) সব রকম যোগ সিদ্ধির অধিকারী। শ্রীকৃষ্ণের আরও ৫ টি গুন আছে যা নারায়ণ বিগ্রহে প্রকাশিত হয়ঃ- ৫৬) অচিন্ত্য শক্তিসম্পন্ন ৫৭) তার দেহে অনন্ত কোটি ব্রহ্মাণ্ডের প্রকাশ ৫৮) তিনি সমস্ত অবতারের আদি উৎস ৫৯) তাঁর দ্বারা হত শত্রুদের তিনি মুক্তিদান করেন ৬০) মুক্ত আত্মাদের তিনি আকর্ষন করেন। এই গুন গুলি ছাড়া কৃষ্ণের আরও ৪ টি গুণ আছে যা আর কারো নেই এমন কি নারায়ণেরও নেই সেই গুন গুলি হল :- ৬১) লীলা মাধুর্য্য, ৬২) প্রেম মাধুর্য্য ৬৩) বেনু মাধুর্য্য ৬৪) রুপ মাধুর্য্য।

উপরের ৬৪ গুণের মধ্যে ৫০ গুনাধিপতি নর, ৫৫ গুণের অধিকারী হলে দেবতা আর ৬০ গুণের অধিকারী কেবলমাত্র স্বতন্ত্র দেবতাগণ। একমাত্র শ্রীকৃষ্ণ হলেন ৬৪ গুণের অধিকারী পূর্ণসত্ত্বা। তাঁর গুণের অন্ত নেই। তিনি অনাদি অনন্ত। যে গুণের অধিকারী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তা ৩৩ কোটি দেবতার নেই। এই ৩৩ কোটি নিয়ে আমাদের নানান মতান্তর ঘটলেও এখানে কোটি শব্দের অর্থ প্রকার, এই কোটি সংখ্যাবাচক নয়। অর্থাৎ ৩৩ প্রকার দেবদেবী বর্তমান তা হল ১২ প্রকার হল আদিত্য-ধাতা, মিত, আযমা, শুক্রা, বরুন, অংশ, ভাগ, বিবস্বান, পুষ, সবিত্রা, তবাস্থা এবং বিষ্ণু। ৮ প্রকার হল বসু- ধর, ধ্রুব, সোম, অহ, অনিল, অনল, প্রত্যুষ এবং প্রভাষ। ১১ প্রকার হল রুদ্র- হর, বহুরুপ, ত্রয়ম্বক, অপরাজিতা, বৃষাকাপি, শমভু, কপার্দী, রেবাত, মৃগব্যাধ, শর্বা এবং কপালী। ২ প্রকার হল অশ্বিনী এবং কুমার। মোট ১২+৮+১১+২=৩৩ এবার দাঁড়ালো ৩৩ কোটি দেবদেবী। এর মধ্যে স্বতন্ত্র দেবতা হলেন পাঁচজন অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ পাঁচজন দেবতা হলেন গণেশ, রমেশ, উমেশ, দীনেশ আর তারা। তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কারণ শেষের যে চারটি গুণ তা সবগুলো মাধুর্যমণ্ডিত। সেটা আর কারুর মাঝে পাওয়া যায় না। ব্রহ্মসংহিতা মতে “ঈশ্বর পরম কৃষ্ণ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ অনাদির আদি গোবিন্দ সর্বকারণ কারণাম্”। অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন পরম ঈশ্বর, সর্বকরণে মূল কারণ। চৈতন্যচরিতামৃতে বলা আছে- একলা ঈশ্বর কৃষ্ণ আর সব ভৃত্য। আবার ভাগবতম্ এ বলা আছে- এতেচাংশ কলাপুংস কৃষ্ণেস্তু ভগবান স্বয়ম্। অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছে ভগবান। ব্যাসদেবের পিতা পরাশরমুনি ভগবানের সংজ্ঞায় বলেছেন- ষড়ৈশ্বর্য পূর্ণ বাণ, তাঁকেই বলে ভগবান অর্থাৎ সমগ্র ঐশ্বর্য, সমগ্র বীর্য, সমগ্র যশ, সমগ্র সৌন্দর্য, সমগ্র জ্ঞান ও সমগ্র বৈরাগ্য যার মধ্যে বিদ্যমান তিনিই ভগবান। "একমাত্র কৃষ্ণের মাঝেই সব কিছু বিদ্যমান।" 

তিনি প্রেমের অবতার হয়ে এসেছেন জীবশিক্ষা দেবার জন্য। তাই সত্যযুগের অবতার নারায়ণের চারহস্তে বিভিন্ন অস্ত্র বা ত্রেতাযুগের অবতার শ্রীরামচন্দ্রের হাতে তীরধনুক থাকলেও তিনি এলেন একেবারে অস্ত্র ত্যাগ করে, নিয়ে এলেন সপ্তসুরের বাঁশি হাতে। তিনি প্রেমের পথের পথিক যেমন হয়েছেন, তেমন অশুভ শক্তিকে দমন করেছেন আবার ধর্মকে রক্ষা করতে কুরুক্ষেত্রের মহারণে ধর্মের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধের কৌশল নির্মাণ করে অধর্মের বিনাশ সাধন করে একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিজ্ঞের পরিচয় দিয়ে গেছেন। তাঁর ক্ষুরধার বিদ্যা ও বুদ্ধির কাছে হার মেনেছিল বীরসেনা ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত কুরুপক্ষ। তাঁর দর্শন, তাঁর আদর্শ ও কর্মধারা না বুঝলে তাঁকে চেনা যাবে না। শুধু বাইরে থেকে নারকেল বা বেলের মতো ঠুকরে দেখলে তা কঠিন এবং অসার বলে মনে হতে পারে, কিন্তু ভক্তি ও নৈতিক চেতনা জাগ্রত করে যদি সেই কঠিন খোলক ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করলে যেমন সারবস্তু পাওয়া যায়, তেমন কৃষ্ণতত্ত্ব বুঝতে গেলে ভক্তির ঠোঁট দিয়ে অবিশ্বাসের খোলক ভেদ করে তাঁর দর্শন অনুধাবন করে নিজেকে সেই মার্গে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শাস্ত্র ঘাঁটলে বুঝবেন তথ্য আর তত্ত্ব পৃথক সত্ত্বা বর্তমান। সেখানে দেখতে পাবেন ‘স্বয়ং কৃষ্ণের নাই কোন গোচারণ লীলা, শ্রীমতী রাধিকার নাই কোন বিরহ জ্বালা’। এই রাধারানী কোন রমণী নয়, কোথাও বলা হল শ্রীকৃষ্ণের লীলামাধুর্য পুষ্ট করার জন্য তাঁর বাম অঙ্গ থেকে সৃষ্ট হ্লাদিনী শক্তির প্রকাশ এই রাধারানী। আবার অপর জায়গায় বলা হয় যে ব্রহ্মচর্য রক্ষার মধ্যে দিয়ে নিম্নগামী ধারা যখন উল্টোদিকে প্রবাহিত হয় ঈড়া, পিঙ্গলা ও সুষম্নার মাধ্যমে শ্বাসকে নিয়ন্ত্রন করার মধ্যে দিয়ে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে তখন তাঁকে রাধা (ধারার বিপরীত) বলা হয়, সেই রাধা পুরুষও হতে পারেন। গোপী বলতে কোন নারীকে নির্দেশ করা হয় নি, গোপী কথার অর্থ হল গোপনে ভজন করেন যিনি। সেই নিগুঢ় তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে এই পরিসর অত্যন্ত স্বল্প।

কৃষ্ণের লীলাচরিত্র অপব্যাখ্যা করে বর্তমান যুবসমাজ যে তাঁকে অনুসরণ করতে চান, তাঁদেরকে বলি যে কৃষ্ণের অনেক সংহারলীলা ছিল সে বিষয় প্রথমেই অনুসরণ করে দেখান। গিরি ধারণ করতে হবে না, একটা ছোট্ট পাথর দুঘণ্টা আঙ্গুলের মাথায় রাখুন তবে বুঝতে পারবেন যে নরের ৫০ গুণ নিয়ে ৬৪ গুনাধিপতি শ্রীকৃষ্ণের সাথে নিজেকে তুলনা করা কত মূর্খের পরিচয় প্রদান করে। আরও মজার বিষয় হল, উপরোক্ত ৫০ গুণের মধ্যে সব মানুষ আবার ৫০ গুণের অধিকারী হতে পারেন না। তাই মানুষ কুলে জন্ম নিলেও মানুষ বলা যায় না। সাধুগুরু বৈষ্ণবের আশীর্বাদ নিতে গিয়ে বাবা মা বলেন বাবা ওকে আশীর্বাদ করুন যেন আমার ছেলেটা মানুষের মত মানুষ হয়। এখানেই কৃষ্ণতত্ত্বের মাধুর্য। অহমিকা আর ঐশ্বর্যের আতিশয্যে ভেসে না গিয়ে জ্ঞানকে বিকশিত করে তাঁকে জানা, তাঁর আদর্শ বা নৈতিক জ্ঞানকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। তিনি জগতপতি হয়ে আছেন হাজার হাজার বছর ধরে। তিনিই পুরুষোত্তম, তিনিই মনীষীশ্রেষ্ঠ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাঁকে আমার প্রণিপাত। 

রচনাকাল : ২০/৬/২০২১
© কিশলয় এবং সনৎকুমার পুরকাইত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 6  Germany : 1  India : 57  Ireland : 3  Romania : 1  Russian Federat : 1  Saudi Arabia : 6  Ukraine : 1  United States : 64  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 6  Germany : 1  India : 57  Ireland : 3  
Romania : 1  Russian Federat : 1  Saudi Arabia : 6  Ukraine : 1  
United States : 64  
© কিশলয় এবং সনৎকুমার পুরকাইত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
লীলা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীশ্রীকৃষ্ণ by Sanat Kumar Purkait is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৫৪১০২৯
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী