জনক দিবসের প্রতিশ্রুতি
তথ্য সংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সন্তানের জন্য যেমন বাবার ভালবাসা, স্নেহ অসীম । ঠিক তেমনই সন্তানেরও তার বাবার প্রতি ভালবাসা অপরিমেয় । কিন্তু কেন পালন করা হয় জনক দিবস ? বা এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব কী ?
সন্তানের জন্য বাবার ভালোবাসা অসীম। মুঘল সাম্রাজ্যরের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছেন। তিনি সন্তান হুমায়ুনের জীবনের বিনিময়ে নিজের জীবন ত্যাগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। এমন স্বার্থহীন যার ভালোবাসা, সেই বাবাকে সন্তানের খুশির জন্য জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়। পিতৃ দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে বাবাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানানোর। তাছাড়া পিতৃ দিবস পালনের ফলে সমাজে এবং পরিবারে পিতাদের যে অবদান তা যে সমাজ এবং নিজের সন্তানরা মূল্যায়ন করছে, এ বিষয়টিও বাবাদের বেশ আনন্দ দেয়।
জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে পিতৃ দিবস পালন শুরু হয় । আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল - এটা বোঝানোর জন্যই মূলত পিতৃ দিবস পালন করা হয় ।
তবে 'ফাদারস ডে' পালনের ক্ষেত্রে দেশ ভেদে দেখা যায় বৈচিত্র্য । এই দিনটি দায় বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালিত হয় । এদিনে ছেলেমেয়েরা তাঁদের বাবাকে কোনও না কোনও উপহার দিতে খুব পছন্দ করে । আর বাবারাও ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে গিফট পেয়ে বেশ অভিভূত হন । এ গিফট দেয়ার ক্ষেত্রেও দেশ ভেদে দেখা যায় ভিন্নতা । কোনো কোনো দেশে ছেলেমেয়েরা বাবাকে কার্ড বা ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা জানায় । অনেকে আবার বাবা দিবস উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজনও করে । সব মিলিয়ে এ এক উদযাপনের দিন।
আসুন আজ জনক দিবসে আমরা সকলে শপথ গ্রহণ করি যেন শেষ বয়সে কোন জনকের স্থান বৃদ্ধাশ্রমে না হয়। তাহলেই সমাজজীবন হবে সুখময়। সংসার হয়ে উঠবে সুখের স্বর্গধাম।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
রচনাকাল : ২০/৬/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।