কাল্পনিক|
ডায়রী নিয়ে বসেছে কমলিকা | মাঝে মাঝেই লেখে রোজ লেখেনা | চারিদিকে অতিমারীর খবরে মনটা খারাপ | দুঃসংবাদ আর নিতে পারছেনা | একটু লিখতে চায় মনের কথা | মাথাটা একটু ধরেছে | একটু ঘুম ঘুম ভাব শরীরে |তাও ডায়রীর পাতা খুললে আনন্দ পায় |কাল ভ্যাকসিন লাইন থেকে ফিরেছে বিফল হয়ে |যদিও ৪৫ পেরিয়েছে ওর |কলম চালাচ্ছে , কিন্তু একি ! সব গুলিয়ে যাচ্ছে |লিখছে "১৯ বছর বয়সে দেখছি এ মৃত্যুপুরী | আমাদেরই ভয় বেশী |বাড়ীতে মাকে কর্পুর শুঁকিয়ে এলাম , সাহায্যের সন্ধানে | ভাই চলে গেছে চিরকালের মত |মা জানেনা |পা দুটো বড়ই দুর্বল আমার | দূরে কিসের আওয়াজ যেন |আমার ডেট্রয়েট শহরটা কত অন্যরকম আজ |"
হঠাৎ কিরকম কষ্টের আওয়াজ বেরিয়ে এল, কমলিকার মুখে |ডায়রির পাতায় তাকাল |কলমটা পাশে পড়ে |"কি লিখেছি আমি ?"নিজেই দেখে অবাক | স্বপ্ন নাকি ?দীর্ঘশ্বাস পড়ছে | উঠে ক্লান্ত পায়ে শ্বাশুড়ির কাছে গেল |শ্বাশুড়ি সরমা দেখে বললেন , "এটা তো তোমার হাতের লেখাই নয় |কার লেখা ? "বলল "আমিই তো লিখছিলাম |আর কিছু মনে নেই |"
একটি অজানা আতঙ্কের ঠান্ডা শ্রোত তখন কমলিকার শরীরে |
লেখার ঘটনা তো সেই উনিশশো আঠারোর স্প্যানিশ ফ্লু এর । তবে আমার কলমের ডগায় কে? সারা শরীরে শিহরণ কমলিকার ।
রচনাকাল : ১৬/৫/২০২১
© কিশলয় এবং শিখা চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।