- শুনছো, বৃষ্টি পড়ছে।
- দেখতে পাচ্ছি।
- বলছিলাম যে একটু চা আ-আ-আ।
- কি ই-ই-ই ? এইমাত্র অফিস থেকে এসে খেলে। আরো?
- না আসলে এ-এ-এ, বৃষ্টি পড়ছে তো তাই ই-ই-ই।
- এই নাও চা।
- শুধু চা দিলে? চায়ের সাথে একটু মানে একটু পকোড়া করলে না?
- আবার পকোড়া! আমাকে মেরে ফেলো। সারাদিন কাজ, তার উপর তোমার এই আবদার।
- কি এমন কাজ করো? আমি অফিসে চলে গেলে তো তোমার কোন কাজ থাকেনা, সব সময় তো ফেসবুক করো।
- হ্যাঁ আমাকে শুধু ফেসবুক করতেই দেখো। বাড়ির কাজ গুলো ভূতে এসে করে দিয়ে যায়।
- লক্ষীটি! একটু পকোড়া করো।
- এই নাও তোমার চা আর পকোড়া। আর কিছু করতে বলবে না আমাকে। এবার আমি সিরিয়াল দেখবো।
- আরে চ্যানেল টা পাল্টাও না। নিউজ টা দেখতে দাও। কে যে ভোটে জিতবে কে জানি?
- তোমার ভোটের নিকুচি করেছে।আমার"রাসমণি"আরম্ভ হয়ে যাবে।
- শুনছো ! আমার লক্ষ্মী বউটি, আমার সোনামণি টি!
- আবার কি ধান্দা?
- তুমি শুধু আমার ধান্দা দেখো। ভালবাসলেও তোমার জ্বালা।
- ধান্দাটা বলে ফেলো।
- বলছিলাম যে এ-এ-এ আজ বৃষ্টি পড়ছে তো, তাই একটু চিকেন আনবো? চিকেন কষা আর খিচুড়ি করবে?
- কি ই-ই-ই? এই ভ্যাপসা গরমে খিচুড়ি? তোমার কোনো আক্কেল নেই?
- প্লিজ! খুব খেতে ইচ্ছে করছে।
- তোমার শুধু খাই আর খাই।
- আমি তোমাকে সাহায্য করবো।
- তুমি সাহায্য করবে? লকডাউনে তুমি আমায় অনেক সাহায্য করেছো, আর না। কাজ করে করে আমার ওজন কমে গেল।
- ভালোই তো হয়েছে। ওজন কমানোর জন্য কত কি করতে। সেটা নিজের থেকেই কমে গেল। আবার লকডাউন হবে।
- এবার আমি বাপের বাড়ি চলে যাব।
- তাহলে আমার কি হবে?
- বেশি তেল দিওনা। আমার শেষ কথা, আমি খিচুড়ি করতে পারবোনা।
- দেখো আমি তোমার স্বামী হই, স্বামী যা বলে তাই করতে হয় ।
- তোমার মিষ্টি কথায় আমি ভুলছি না। আমি পারবো না তো পারবো না।
- তোমার হাতের খিচুড়ি যেন অমৃত। তোমার হাতের রান্না খেয়ে আমার আর কারো হাতে রান্না খেতে ইচ্ছে হয় না।
- কথার জালে তুমি বেশ ফাঁসাতে পারো। যাও আনো চিকেন। করে দিচ্ছি খিচুড়ি আর চিকেন কষা।
- এইতো আমার লক্ষ্মী বউটি কথা শুনেছে।
রচনাকাল : ১৫/৫/২০২১
© কিশলয় এবং তনুশ্রী দে পাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।