- শুনছো ও ও ও, দোকান থেকে এলাম জল দাও।
- কি ই ই ই! ফল? ফল কোথা থেকে পাব? যে ফল দেব।
- ফল নয় জল দাও, জল।
- কি বল? বল নিয়ে বুড়ো বয়সে ফুটবল খেলবে? দিয়ে পা ভাঙবে কি?
- আরে বাবা জল দাও। কালা বুড়িকে নিয়ে আর পারিনা।
- কি আমি কালা বুড়ি? আমি যদি কালা বুড়ি হই তাহলে তোমার ঘর গুষ্ঠি কালা।
- এই দেখো! এতক্ষণ জল খুঁজছিলাম শুনতে পেল না যেই বলেছি কালা বুড়ি সেই শুনতে পেয়েছে। এক গ্লাস জ-অ-অ-অ-ল দেবে?
- এত চিৎকার করে বলছ কেন? আমি কি কালা? এই নাও জল।
- শোনো শোনো একটু পাশে এসে বসো দেখি। কি কিনেছি দেখো।
- কি এনেছো?
- দেখো দেখো তোমার আমার ম্যাচিং ড্রেস।
- এইগুলো দিয়ে কি হবে?
- আজ নববর্ষ। এগুলো পরে আজ আমরা ঘুরতে যাব বিকালে।
- মরণ! বুড়ো বয়সে যত আদিখ্যেতা। এগুলো দাও, ছেলে আর বউকে দিয়ে আসি। ওরা পরে ঘুরতে যাবে।
- আরে ওদের দেখেই তো আমার ইচ্ছে হলো। লক্ষীটি! এগুলো পরে আজ দুজনে ঘুরতে যাব।
- তুমি কি লাজ লজ্জার মাথা খেয়েছো? আমি কি কোনোদিন চুড়িদার পরেছি?
- পরো নি বলেই তো আজ পরবে। আমাদের জীবন তো প্রায় শেষ হয়ে এল। সংসারের চাপে কোন শখ মেটাতে পারিনি তোমার। চলো এগুলো পরে আজ ঘুরে আসব।
- আমার লজ্জা করবে। ছেলে আর বউকে মুখ দেখাতে পারবো না।
- ওরা তো বিকেলে থাকবেনা। ওরা ঘুরতে যাবে। ওদের বেরোনোর পর আমরা বেরোবো আর আসার আগে আমরা ফিরে আসব।
- ঠিক আছে। যখন তুমি বলছো তাই হবে।
- কিগো রেডি হলে?
- হ্যাঁ রেডি ,চলো। আমার খুব লজ্জা করছে।
- লজ্জার কিছু নেই চলো।
- কেউ আমাদের দেখে হাসছে না তো?
- হাসলে হাসুক। আমি তোমার সঙ্গে আছি। ভয়টা কিসের?
- বুড়ো বয়সে তোমার যত শখ।
- বেশি কথা না বলে এখানে একটু বসো তো, একটা ফটো তুলি, এই দেখো!
কি লাগছে তোমাকে! পুরো ঝিংকু মামনি।
- তোমাকে ও পুরো সিনেমার নায়ক লাগছে।
- এসো দু'জন একটা সেলফি তুলি। একটু কাছে এসো।
দেখো! কি চমৎকার সেলফিটা এসেছে।
- পুরো" রব নে বানা দি জোড়ি"।
- হা হা হা । ওমা আমার বুড়ির মুখে হাসি ফুটেছে দেখছি।
- হি হি হি
রচনাকাল : ১৫/৫/২০২১
© কিশলয় এবং তনুশ্রী দে পাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।