আজ সেই শুভদিন,চান্দ্র বৈশাখীর শুক্লা তৃতীয়া,
হিন্দু,জৈন,ধর্মের মহাপুণ্য তিথি শুভ অক্ষয় তৃতীয়া।
অক্ষয় কথার অর্থ,যা হয়না কখনো ক্ষয়,
এই দিনেই, সত্য যুগের অবসান ত্রেতা যুগের শুভারম্ভ হয়।
এই দিনেই,ত্রিপদ গামিনী গঙ্গাকে মর্তে আনেন ভগিরথ,
বেদব্যাসের বাণীতে সিদ্ধিদাতা গনেশ রচেন মহাভারত।
এই দিনেই,বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশু- রাম জন্মনেন,
কুবেরের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব অতুল ঐশ্বর্য্য দেন।
এই সেই শুভদিন, মা অন্নপূর্ণা হন আবির্ভূতা,
সত্য যুগ শেষ হয়ে প্রতিকল্পে ত্রেতা যুগ আগতা।
এই দিনেই,পুরীধামে জগন্নাথ দেবের রথ নির্মাণ শুরু,
বন্ধথাকা মহাতির্থ চারধাম দারমুক্ত করেন পন্ডিত মহাগুরু।
এইদিনে,ছয়মাস আগে জ্বেলে রাখা প্রদীপ যেমন,
দ্বার উদঘাটনে,প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ শিক্ষা দেখেন যথেক পণ্ডিতগণ।
এই দিনেই সুদামা বন্ধু কাছে যান দ্বারকায়,
শ্রীকৃষ্ণ সখ্যতায় বন্ধু সনে চাল ভাজা খায়।
এই সেই দুর্বিসহ ভয়ঙ্কর দিন হয় যে আগত,
যদিও,দুরাচারী দূঃশাসন নিজ কর্মে হন ব্যাহত।
এই ক্ষণেই দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ হয় সভা মাঝে,
লজ্জা নিবারণে শ্রীকৃষ্ণ বস্ত্রদেন তাঁর প্রিয় সখিরে।
এই সেই দিন, দক্ষযজ্ঞে পতি নিন্দা শ্রবণে পার্বতী,
নিজ সৃষ্ট কোপাগ্নিতে দেহ-ত্যাগেন সতী।
সতীর সেই দেহ,অগ্নিময় ধূমে পরিব্যাপ্ত
এই দিনের শুভক্ষণেই অক্ষয় তৃতীয়া আগত।
এই ক্ষণেই তন্দ্র বলে দেবী ধূমাবতী সৃষ্ট হন,
সেই থেকেই দুর্গার আরেক রূপ জানে সর্বজন।
"প্রাপ্ত অক্ষয় তৃতীয়ায়াং জাতা ধূমাবতী শিবে,
কালি কালি কালব্রক্তা ভৌমবারে নিশমুখে"।
এইদিন স্নানে, দানে, তর্পণে, মহাপুণ্য যেনো,
নিজ কৃতকর্ম অমর রবে পুণ্য কর্ম ফলে মেনো।
আজ এই পূন্য দিনে সবারে জানাই,
শুদ্ধমনে পুণ্য কাজ করো গো সবাই।
শাস্ত্র মতে কিছু কথা কহিলাম প্রিয় বন্ধুরে,
ভুল ত্রুটি যদি হয়, নিজেগুনে মার্জনীয় আমারে।।
রচনাকাল : ১৫/৫/২০২১
© কিশলয় এবং রীনা ভদ্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।