বিশ্বত্রাস করোনার ছোবলে... 1428 সূচনায় জীবন নিলো কেড়ে
প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষ.....স্তব্ধ হলো শঙ্খনাদ (চতুর্থ পর্ব)
তথ্য সংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
কবির জীবন দীপ হয়ে গেল শেষ,
করোনার বিষবাষ্পে হল নিঃশেষ।
কাব্যের জগতে এক নক্ষত্র পতন,
স্তব্ধ হলো শঙ্খনাদ না শুনি কখন।
স্তব্ধ হলো শঙ্খনাদ । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিল কবি শঙ্খ ঘোষকে। ৮৯ বছর বয়স হয়েছিল কবির । গায়ে জ্বর থাকায় কোভিড পরীক্ষা হয় তাঁর। ১৪ এপ্রিল করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় আগেই ভুগছিলেন কবি। শরীরও বেশ দুর্বল ছিল। করোনা সংক্রমণ তাঁকে দুর্বলতর করে। নানা উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই তাঁর শরীর খারাপ হতে থাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার সকালে বাড়িতেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি চলে গেলেন। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাঁর ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হয় বলে পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে। শঙ্খবাবু করোনার টিকাও নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। তা সত্ত্বেও নিভে গেল প্রদীপ।
দীর্ঘ কর্মজীবনে শঙ্খ ঘোষ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন। তাঁর লেখার মাধ্যমেই তিনি বারবার সতর্ক করেছেন রাজনৈতিক দলগুলোকে। রাজ্যে পরিবর্তনের সময়েও অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন তিনি। কিন্তু বারবার চোখে আঙুল দিয়ে ভুলও দেখিয়েছেন। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনমত বার্তাও দিয়েছেন।
বছর দুয়েক আগে ‘মাটি’ নামের একটি কবিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছিল তাঁর কলম।
বাংলা কবিতার জগতে তাঁর অবদান অনেক। 'বাবরের প্রার্থনা', 'দিনগুলি রাতগুলি', 'মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে' কাব্যগ্রন্থগুলি বাংলা সাহিত্যের অমর সঞ্চয়। 'বাবরের প্রার্থনা' কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরষ্কার পেয়েছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ।
২০১১ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন বাংলার সাহিত্যমহল। বাংলা কবিতায় এক যুগাবসান হল কবি শঙ্খ ঘোষের অকাল মহাপ্রয়াণে।
তথ্যসূত্র: জি নিউজ 24 ঘন্টা
রচনাকাল : ২৪/৪/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।