মিথ্যা প্রচারে সে প্রবল প্রবিষ্ট
স্পর্ধায় আমি হয়েছি বড্ড রুষ্ট
দ্যাখেনা আপন দোষ- করে পরকে দোষারোপ,
শেখেনি সহবত -লিখনেও ভুলভাল্-
উচ্চারণে ভাঙ্গেনি এখনও আঁড়
তাই করে তাল-বেতাল।
"তাড়াতাড়ি" লিখতে "তারাতারি" "জুড়ে" তে "জুরে" "সরিয়ে"তে "সড়িয়ে", "যেসব" লিখতে "জেসব"
আবার লেখার বাহারে "বাড়ি" লিখতে লেখে "বারি"
তাই নিয়েও সে দিব্যি অহঙ্কারী।
অপরের প্রতিভার বিকাশে জাগে ঈর্ষা মনে
নিজে পারেনা লিখতে তেমন
সেই ব্যর্থতা নিয়েও নিজেকে জাহির করতে
মঞ্চে উঠে বলে- "কবি সাহিত্যিকদের কাছ থেকে সমাজ প্রত্যাশা করে বিশেষ স্বচ্ছ বার্তা,
কিন্তু তারই নিজ ক্ষোভে
অসভ্য অভদ্র অশালীন আচরণের বহিঃপ্রকাশে
সেদিন তার আখ্যায়িত
অশিক্ষিত, মূর্খ, ছোটলোক, কুলি, আঁড় না ভাঙ্গা, "ক্রিমিনাল" -----আরও অনেক কটুক্তি শোনা লোকটি
অব্যক্ত ব্যথা নিয়ে করেছে প্রতীক্ষা।
আজ হোয়াটস্ অ্যাপ আর ম্যাসেঞ্জারে
একদা একান্ত গোপন বাক্যালাপের রেকর্ডকৃত
সংলাপ হাতে নিয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে জানতে চায়-
এ কেমন লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক?
যার মুখে উচ্চারিত ভীষণ নিন্দনীয় বার্তা শুনে
সমাজের সুধীজনেরা হয়েছেন হতবাক!
আজ তার আসল মুখোশ হয়েছে উন্মোচিত
তথাকথিত বিবেচক যারা-পক্ষপাতে হয়েছে পরাস্ত,
তারা ছাড়া অন্য সবাই দিচ্ছেন ধিক্কার।
কেউ কেউ পথ চলতে- প্রকাশ্যে হাঁক ছেড়ে বলে-
"বলনে সরু কন্ঠে মিষ্টভাষী"- "দর্শনে সুদর্শন সুপুরুষ"
ভিতরে যে শয়তান "ক্রিমিনাল"-----
আসলে ওটা একটা আস্ত "মাকাল"----!!
রচনাকাল : ১০/৪/২০২১
© কিশলয় এবং শিব প্রসাদ হালদার কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।