গুড ফ্রাইডের কবিতা
আনুমানিক পঠন সময় : ৩ মিনিট

লেখক : লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেশ : India , শহর : New Delhi

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০১৯ , সেপ্টেম্বর
প্রকাশিত ৯৩৫ টি লেখনী ৭০ টি দেশ ব্যাপী ২২৩০৬১ জন পড়েছেন।
গতকাল ছিল গুড ফ্রাইডে’ । গুড ফ্রাইডে বা “শুভ শুক্রবার” মূলত খ্রিষ্টানদের দ্বারা পালিত একটি ধর্মীয় ছুটির দিন। এই উৎসবের অপর নাম ‘হোলি ফ্রাইডে’ বা ‘পবিত্র শুক্রবার’, ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ বা ‘কালো শুক্রবার’ এবং ‘গ্রেট ফ্রাইডে’ বা ‘মহান শুক্রবার’ নামেও পরিচিত। যিশু খ্রিষ্টের ক্রুসবিদ্ধকরণ, মৃত্যু ও সমাধিমন্দির থেকে তাঁর পুনরুজ্জীবনের স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়।

পবিত্র সপ্তাহে ইস্টার রবিবারের পূর্ববর্তী শুক্রবারে প্যাস্কাল ট্রিডামের অংশ হিসেবে এই উৎসব পালিত হয়। প্রায়শই গুড ফ্রাইডে ইহুদিদের উৎসব পাসওভারের সঙ্গে একই দিনে উৎযাপিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন বছরে এই দিনটি বিভিন্ন দিন হলেও সাধারনত ২০ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে পড়তে দেখা যায়৷

খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দিনকে কেন ‘গুড ফ্রাইডে’ বা শুভ শুক্রবার বলা হবে তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্নও ওঠে ৷ কারণ এমন যন্ত্রণাদায়ক অবসানের মধ্যে ‘শুভ’টা কোথায়? বিশেষত জার্মানি সহ বেশ কিছু স্থানে এই দিনটির নাম ‘বেদনাময় শুক্রবার’। তবে এমন নামকরণের একটা ব্যাখ্যা রয়েছে৷ মনে রাখতে হবে, খ্রিস্টধর্মের আদি পর্বের ইতিহাসে বিস্তর লোক কাহিনি ও উপকথা জড়িয়ে রয়েছে। ইংরেজি নামটির একটি ব্যাখ্যা হল, এটি ‘গড’স ফ্রাইডে’র পরিবর্তিত রূপ। আবার, পবিত্র (‘হোলি’ বা ‘পায়াস’) অর্থে প্রাচীন ইংরেজিতে ‘গুড’ শব্দটি ব্যবহৃত হত, নামটা সেখান থেকেও এসে থাকতে পারে।

এটিই ইস্টার পরবের প্রধান দিন। এই পর্বটি শেষ হয় ইস্টার সানডে’তে, যিশুর পুনরুত্থানে। ইস্টারের দিনক্ষণ নিয়ে এক কালে নানা মত ছিল, গোড়ায় ‘স্প্রিং ইকুইনক্স’ বা মহাবিষুব-এর সময় এই উৎসব পালন করা হত। সেই মতো প্রথমে ধরা হয়েছিল, যিশু ৩৩ খ্রিস্টাব্দে ক্রুশবিদ্ধ হন, তখন গুড ফ্রাইডে পালন করা হত ৩ এপ্রিল। এদিকে আবার আইজাক নিউটন গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি মেপে সময়টাকে ৩৪ খ্রিস্টাব্দে নিয়ে আসেন।
এখন পশ্চিম ইউরোপের চার্চগুলি এই দিন স্থির করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে, আর পূর্ব ইউরোপে অনুসরণ করা হয় জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। দিনটা আলাদা হলেও এই পরবের বিশেষ প্রার্থনা এবং ‘মাস’ দুই ভূখণ্ডেই এক রকম। প্রকৃতপক্ষে, ইস্টার সানডের চল্লিশ দিন আগে শুরু হয় ‘লেন্ট’ পর্ব, অনেকে এই সময়টা উপবাস করেন।

এদিকে ইস্টার এগের মাধ্যমে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থানকে প্রতীকী করা হয়ে থাকে। খ্রিস্ট ধর্মালম্বীরা মনে করেন, পাখি যেমন ডিমের খোলস ছেড়ে পৃথিবীর আলোয় আসে, তেমনিভাবেই যিশুও পুনুরুত্থিত হয়েছিলেন। পুনরুত্থানের সেই দিনটিকে বলা হয় ইস্টার সানডে। আর ইস্টার সানডের অন্যতম অংশ ইস্টার এগ। ডিম হল পুনর্জন্মের প্রতীক।

ইস্টারের জন্য ডিমের রং যে লাল করা হয়, সেটা খ্রিস্টের রক্তের রূপক হিসেবে। রাশিয়াতে সমাধির উপর রাখা হত রক্তবর্ণ ‘ইস্টার এগ’ যা আসলে পুনরুত্থানের প্রতীক। আজকাল সচরাচর ডিমের আকারে চকলেট, কিংবা জেলি-বিন বা অন্য কোনও মিষ্টি ভিতরে রাখা প্লাস্টিকের ডিম ব্যবহার করা হয়৷ আবার কেউ কেউ এই সময় মুরগির ডিম কড়া সেদ্ধ করে রং করে থাকেন।

বাংলা কবিতা আসরের সকল কবিগণকে জানাই পবিত্রতম দিবস
গুড ফ্রাইডের আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

গুড ফ্রাইডের কবিতা
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

গুড ফ্রাইডে আজিকে পবিত্র দিবস,
সকলেই গাহ আজি প্রভু নাম যশ।
ক্রুশ কাঁধে চলে সবে যতেক খ্রিষ্টান,
সকলেই হাঁটে পথে গাহে স্তব গান।

গুড ফ্রাইডে সকালে যীশুর প্রার্থনা,
প্রভুর নিকটে সবে করয়ে বন্দনা।
পরিত্রাতা প্রভু যীশু, এসো পুনর্বার,
পুনরুত্থানের লাগি প্রতীক্ষা আবার।

শিখালে মানবে তুমি করিবারে ক্ষমা,
করিও না ক্ষমা যারা করে প্রবঞ্চনা।
সবাকার তরে তুমি ত্যজিলে জীবন,
পাপীজনে করিয়াছ প্রেম আলিঙ্গণ।

যীশুর পুনরুত্থান- পুনঃ বসুধায়,
লিখিল লক্ষ্মণকবি তাঁর কবিতায়।

রচনাকাল : ৩/৪/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 1  China : 10  France : 1  Germany : 1  India : 49  Ireland : 4  Russian Federat : 1  Spain : 1  Ukraine : 1  United States : 54  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Canada : 1  China : 10  France : 1  Germany : 1  
India : 49  Ireland : 4  Russian Federat : 1  Spain : 1  
Ukraine : 1  United States : 54  
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
গুড ফ্রাইডের কবিতা by Lakshman Bhandary is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০২৮৪৭৩৫
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী