দোল পূর্ণিমা ও হোলি (পৌরাণিক কথা ও কাহিনী)
(প্রথম পর্ব )
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বিশ্বের বৃহত্তম রঙের উত্সিব দোল বা হোলি। বাংলায় এটি দোলযাত্রা, দোল পূর্ণিমা বা দোল উত্সবব নামে পরিচিত। তবে ভারতের অন্যত্র বেশিরভাগ জায়গাতেই রঙের উত্সউবকে হোলি বলা হয়। সবার রঙে রঙ মেলাবার দিন এটি।
হোলির নির্ঘণ্ট
* দোল পালন হবে আগামী ২৮ মার্চ রবিবার।
* দোল পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ২৮ মার্চ রাত ৩টে ২৭ মিনিটে।
* পূর্ণিমার অবসান ২৯ মার্চ রাত ১২টা ১৭ মিনিটে।
* হোলিকা দহন পালন হবে ২৮ মার্চ
* হোলি পালিত হবে ২৯ মার্চ সোমবার
একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো। দোলথবাঙালিরা যেদিন দোল খেলেন তার পরের দিন হোলি পালিত হয়। একই উত্সরব, একই রীতি রেওয়াজ, তবে ভিন্ন ভিন্ন দিনে। কেন একই উত্সতব এক দিন আগে পরে উদযাপিত হয়, তা জানেন কি?
এর কারণ দোল ও হোলি পালনের যে মূল উত্স্যত কথা সেটিই আলাদা।
দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা
দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা পালিত হয় রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমের কাহিনির ওপর ভিত্তি করে। আর হোলি পালন করা হয় নৃসিংহ অবতারের হাতে হিরণ্যকশিপু বধ হওয়ার যে পৌরাণিক কাহিনি, তার ওপর ভিত্তি করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল শ্রীকৃষ্ণ এবং নৃসিংহ অবতার উভয়ই ভগবান বিষ্ণুর অবতার। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে ফাল্গুিন মাসের পূর্ণিমা রাতের পরের দিন দোল উত্সরব পালন করা হয়। মনে করা হয় এদিনেই রাধা ও তাঁর সখীরা দল বেঁধে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন। সুগন্ধি ফুলের কুড়ির রং তাঁর মুখে মাখিয়ে কৃষ্ণ। সেদিনই কৃষ্ণ রাধার প্রতি তাঁর প্রেম নিবেদন করেছিলেন বলে মনে করা হয়।
হোলি
অন্যদিকে পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। সেই কারণে প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকা প্রহ্লাদকে আগুনে নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করেন। বিষ্ণুর কৃপায় আগুন প্রহ্লাদকে স্পর্শ করতে না পারলেও সেই আগুনে পুড়ে মারা যান হোলিকা। তার হোলি হল অশুভ শক্তির পরাজয় ও শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক। তাই হোলির আগের দিন হোলিকা দহন পালন করা হয়। দোলের আগের দিন বাঙালিরাও ন্যাড়া পোড়া বা বুড়ির ঘর পোড়ানো পান করেন।
রচনাকাল : ২৬/৩/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।