মহা- শিবরাত্রি ব্রতকথা ও কবিতা
আনুমানিক পঠন সময় : ২ মিনিট

কবি : লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেশ : India , শহর : New Delhi

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০১৯ , সেপ্টেম্বর
প্রকাশিত ৯৩৫ টি লেখনী ৭২ টি দেশ ব্যাপী ২৬৭২১৬ জন পড়েছেন।
Lakshman Bhandary
মহাশিবরাত্রি ব্রতকথা ও কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মহাশিবরাত্রি হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব ‘শিবের মহা রাত্রি’। অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালিত হয়। কুমারীগণ এইদিন সারাদিন উপবাসী থেকে শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা, ফুল দিয়ে পূজা করে থাকে।

শিবমহাপুরাণ অনুসারে, অতি প্রাচীনকালে বারাণসী তথা কাশীধামে এক নিষ্ঠুর ব্যাধ বাস করত। সে প্রচুর জীবহত্যা করত। একদিন শিকারে বেরিয়ে তার খুব দেরী হওয়ার ফলে সে জঙ্গলে পথ হারিয়ে রাতে হিংস্র জন্তুর ভয়ে এক গাছের উপর আশ্রয় নেয় । কোনো শিকার না পেয়ে সে হতাশ হয়ে গাছ থেকে একটা করে পাতা ছিঁড়ে নীচে ফেলতে থাকে ।

সেই গাছটি ছিল বেলগাছ । আর সেই বেলগাছের নীচে একটি শিবলিঙ্গ ছিল। সেদিন ছিল শিবচতুর্দশী অর্থাৎ মহাশিবরাত্রি। আর ব্যাধও ছিল উপবাসী। তার ফেলা বেলপাতাগুলো শিবলিঙ্গের মাথায় পড়ে এর ফলে তার শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হয় তার অজান্তেই। পরদিন ব্যাধ বাড়ী ফিরে এলে তার খাবার সে এক অতিথিকে দিয়ে দেয়। এতে তার ব্রতের পারণ ফল লাভ হয়।

এর কিছুদিন পরে সেই ব্যাধ মারা গেলে যমদূতরা তাকে নিতে আসে। কিন্তু শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হেতু শিবদূতরা এসে যুদ্ধ করে যমদূতদের হারিয়ে ব্যাধকে নিয়ে যায়। যমরাজ তখন শিকার করেন যে শিবচতুর্দশী ব্রত পালন করে এবং শিব বা বিষ্ণুর ভক্ত যেই জন, তার উপর যমের কোনো অধিকার থাকেনা। সে মুক্তিলাভ করে। এইভাবে মর্ত্যলোকে শিবচতুর্দশী ব্রতের প্রচার ঘটে।

কথিত আছে, আজ এই চতুর্দশী রাত্রে শিবের বিবাহ হয় পার্বতীর সাথে। তাই এই দিনে কুমারী মেয়েরা উপবাসী থেকে বিল্বপত্র, ধুতুরা, আকন্দ ও বেল শিবলিঙ্গে চাপিয়ে দুধ, ঘৃত, মধু আর গঙ্গাজল দিলে শিব সম পতি লাভ করে।

বাংলা কিশলয় কবিতা আসরের সকলকে জানাই পূণ্য মহা-শিবরাত্রির শুভেচ্ছা।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


মহা- শিবরাত্রি ব্রতকথা (ধর্মীয় কাব্যগাথা)
               কলমে-  লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শিবরাত্রি ব্রতকথা শুন দিয়া মন,
মৃগয়া করিতে আসে ব্যাধ একজন।
সারাদিন ভ্রমি ফিরি না পায় শিকার,
গৃহে ফিরিবারে হয় বাসনা তাহার।

বনমাঝে সেই ব্যাধ হারাইল পথ,
না পুরিল মনস্কাম ভগ্ন মনোরথ।
রজনী যাপন করে বিল্ববৃক্ষে চড়ি,
নিক্ষেপিয়া পত্র ছুঁড়ে সারারাত ধরি।

আছিল শিবের লিঙ্গ বিল্বতরু তলে,
বিল্বপত্র পড়ে সেই শিবলিঙ্গ মূলে।
প্রীত হন মহাদেব তাহার উপর,
লভিল সে মহাপূণ্য অবনী ভিতর।

বৃদ্ধকালে সেই ব্যাধ মরিল যখন,
মৃতদেহ আসে নিতে যম-দূতগণ।
ইহা দেখি মহেশ্বর পড়িল সঙ্কটে,
পাঠাইল শিবদূত যথা মৃত্যু ঘটে।

যমদূত সনে তারা আরম্ভিল রণ,
জয় করি দেহ তার করে আনয়ন।
শিবলোকে যমরাজ করিল গমন,
যমরাজ হর প্রতি জিজ্ঞাসে কারণ।

শিব বলে ভক্ত মোর মহা পূণ্যবান,
যমলোকে তার নাহি হয় অধিষ্ঠান।
শিবরাত্রি ব্রতকথা অমৃত সমান,
সুললিত ছন্দে লিখে লক্ষ্মণ শ্রীমান।  
রচনাকাল : ১১/৩/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bangladesh : 5  Canada : 26  China : 13  Europe : 1  France : 3  Germany : 3  Hong Kong : 1  Hungary : 4  India : 205  Ireland : 8  
Saudi Arabia : 9  Sweden : 1  Ukraine : 4  United Kingdom : 1  United States : 167  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bangladesh : 5  Canada : 26  China : 13  Europe : 1  
France : 3  Germany : 3  Hong Kong : 1  Hungary : 4  
India : 205  Ireland : 8  Saudi Arabia : 9  Sweden : 1  
Ukraine : 4  United Kingdom : 1  United States : 167  
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
মহা- শিবরাত্রি ব্রতকথা ও কবিতা by Lakshman Bhandary is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৫৩৯০৮৪
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী