মহাশিবরাত্রি ব্রতকথা ও কবিতা। (প্রথম পর্ব)
আনুমানিক পঠন সময় : ২ মিনিট

লেখক : লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেশ : India , শহর : New Delhi

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০১৯ , সেপ্টেম্বর
প্রকাশিত ৯৩৫ টি লেখনী ৭২ টি দেশ ব্যাপী ২৫৬৬৫৪ জন পড়েছেন।
মহাশিবরাত্রি ব্রতকথা ও কবিতা। (প্রথম পর্ব)
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মহাশিবরাত্রি হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব ‘শিবের মহা রাত্রি’। অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালিত হয়। কুমারীগণ এইদিন সারাদিন উপবাসী থেকে শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা, ফুল দিয়ে পূজা করে থাকে।

শিবমহাপুরাণ অনুসারে, অতি প্রাচীনকালে বারাণসী তথা কাশীধামে এক নিষ্ঠুর ব্যাধ বাস করত। সে প্রচুর জীবহত্যা করত। একদিন শিকারে বেরিয়ে তার খুব দেরী হওয়ার ফলে সে জঙ্গলে পথ হারিয়ে রাতে হিংস্র জন্তুর ভয়ে এক গাছের উপর আশ্রয় নেয় । কোনো শিকার না পেয়ে সে হতাশ হয়ে গাছ থেকে একটা করে পাতা ছিঁড়ে নীচে ফেলতে থাকে । সেই গাছটি ছিল বেলগাছ । আর সেই বেলগাছের নীচে একটি শিবলিঙ্গ ছিল। সেদিন ছিল শিবচতুর্দশী অর্থাৎ মহাশিবরাত্রি। আর ব্যাধও ছিল উপবাসী। তার ফেলা বেলপাতাগুলো শিবলিঙ্গের মাথায় পড়ে এর ফলে তার শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হয় তার অজান্তেই। পরদিন ব্যাধ বাড়ী ফিরে এলে তার খাবার সে এক অতিথিকে দিয়ে দেয়। এতে তার ব্রতের পারণ ফল লাভ হয়।

এর কিছুদিন পরে সেই ব্যাধ মারা গেলে যমদূতরা তাকে নিতে আসে। কিন্তু শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হেতু শিবদূতরা এসে যুদ্ধ করে যমদূতদের হারিয়ে ব্যাধকে নিয়ে যায়। যমরাজ তখন স্বীকার করেন যে শিবচতুর্দশী ব্রত পালন করে এবং শিব বা বিষ্ণুর ভক্ত যেই জন, তার উপর যমের কোনো অধিকার থাকেনা। সে মুক্তিলাভ করে। এইভাবে মর্ত্যলোকে শিবচতুর্দশী ব্রতের প্রচার ঘটে।

কথিত আছে, আজ এই চতুর্দশী রাত্রে শিবের বিবাহ হয় পার্বতীর সাথে। তাই এই দিনে কুমারী মেয়েরা উপবাসী থেকে বিল্বপত্র, ধুতুরা, আকন্দ ও বেল শিবলিঙ্গে চাপিয়ে দুধ, ঘৃত, মধু আর গঙ্গাজল দিলে শিব সম পতি লাভ করে ।

বাংলা কিশলয় কবিতা আসরের সকলকে জানাই পূণ্য মহা-শিবরাত্রির শুভেচ্ছা।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

মহা- শিবরাত্রি ব্রত
                লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শিব চতুর্দশী আজি পূণ্য শুভক্ষণ,
ফুলে ফুলে সুসজ্জিত মন্দির প্রাঙ্গণ।
মন্দিরেতে শিবলিঙ্গ শোভে মনোহর,
বিল্বপত্র ফুলমালা তাহার উপর।

ঘৃত মধু গঙ্গাজল গাভীদুগ্ধ লয়ে,
চলিছে কুমারী সব আজি দেবালয়ে।
পূত ঘৃত রসে দীপ জ্বলিছে চৌদিকে,
সুগন্ধি চন্দন ধূপ পুড়িছে সম্মুখে।

ঔঁ নমঃ শিবায়ঃ বলি গঙ্গাজল দিলে
নিশ্চয় জানিহ শিব সম পতি মিলে।
উপবাসী থাকে তাই কুমারী সকলে,
শিব সম পতি লভে বহু পূণ্য ফলে।

শিবের বিবাহ আজি মহা-শিবরাত্রি,
আনন্দেতে উঠে মেতে বিশাল ধরিত্রী।
শিবরাত্রি ব্রতকথা শুনে সর্বজন,
কবিতায় লিখে কবি ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।

রচনাকাল : ১১/৩/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bangladesh : 1  Canada : 32  China : 4  France : 3  Germany : 1  Hungary : 4  India : 189  Ireland : 7  Russian Federat : 3  Sweden : 1  
Ukraine : 2  United States : 154  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bangladesh : 1  Canada : 32  China : 4  France : 3  
Germany : 1  Hungary : 4  India : 189  Ireland : 7  
Russian Federat : 3  Sweden : 1  Ukraine : 2  United States : 154  
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
মহাশিবরাত্রি ব্রতকথা ও কবিতা। (প্রথম পর্ব) by Lakshman Bhandary is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৪৮৩৩৩৩
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী