মা হলো সেই ছোট্ট বেলার ,
বুকের সুধা পান।
মা হলো সেই কাজের ফাঁকে,
একটু কোলে স্থান।
মা হলো সেই কপালে রাখা,
ঠান্ডা স্নেহের হাত।
বুকের মাঝে জড়িয়ে থাকা,
স্বর্গ সুখের সাধ।
মা হলো সেই ঊষার আলোয়,
আলতো পায়ে চলা।
আলতা পরা পা দুখানি,
মুখটি বড় মায়া।
মা হলো সেই শাখেঁর ফুঁকে,
সিক্ত বসন পরা।
ঠাকুর ঘরে দোরটি ধোঁয়া,
ফুল, সাঁজিতে ভরা।
মা হলো সেই হাতটি ধরে,
চলা শুরুর পথ।
মায়ের হাতে একপাতে,
খাওয়া, ভাই বোনদের সাথ।
মা হলো সেই সকাল বেলার,
হলুদ মাখা হাত।
কিশলয় আর অঙ্ক শেখা,
চলত দিন রাত।
মা হলো সেই পুকুর ঘাটে,
গামছা নিয়ে স্নান।
ডুব সাঁতারে এপার ওপার,
জোরসে ধরা কান!!!
মা হলো সেই তুলসী তলায়,
সন্ধ্যা প্রদীপ হাতে।
লাল শাড়ি আর কপালে টিপ,
চওড়া সিঁদুর মাথে।
মা হলো সেই রাতের বেলায়,
ঘুমপাড়ানি গান।
আঁচল ঢাকা কোলের পরে,
জ্যোৎস্না করে স্নান।
মাগো তুমি গেলে কোথায়,
আমায় রেখে একা !!!
তোমায় ছাড়া জীবন আমার,
শুধুই, ফাঁকাই ফাঁকা!!!
রচনাকাল : ১০/৩/২০২১
© কিশলয় এবং রীনা ভদ্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।