তুমি যখন অবগাহন কর শান্ত সরসীর এক বুক জলে,
তখন নিস্তরঙ্গ জলরাশি কেমন উচ্ছ্বসিত হয়ে তরঙ্গায়িত হয় আনন্দে।
উৎফুল্ল হয়ে খেলা করে কেমন সাবলীল ভাবে তোমার শরীরের উপর থেকে নিচে,
চুম্বনের আলপনা এঁকে চলে শরীরের প্রতিটি খাঁজে;
নির্লজ্জ বেহায়ার মতো।
আমার ভীষণ হিংসে হয় তাই দেখে।
আমি তাকিয়ে থাকি একাগ্র চিত্তে তোমার দিকে অপলকে।
আমার চোখ কিছুতেই ছুঁতে পারে না তোমার শরীরের গভীর গোপন;
যেমন করে জল ছুঁয়ে থাকে তোমায় অবলীলায় ভেদ করে সমূহ আবরণ।
আমিও তো প্রতিদিন প্রতিক্ষণ তোমাকে এঁকে চলেছি কল্পনায়,
তবুও তো কখনও পারিনি তেমন করে ছুঁতে,
যেমন করে জল ছুঁয়ে থাকে তোমায়!
আমার ভীষণ হিংসে হয়।
ভীষণ কষ্ট হয়।
আমি কেন জল হতে পারিনি?
ইচ্ছে করে জলের মতো তোমার তপ্ত পেলব তনু খানিতে ছড়িয়ে দিই শীতলতার স্নিগ্ধ আবেগঘন স্পর্শ।
আমিও জলের মতো তোমার বুকে লেপ্টে হতাম না হয় একটু নষ্ট।
তখন তো আর থাকত না এত মনোকষ্ট।
তোমার চিবুক, ওষ্ঠ্য , গ্রীবায় এঁকে দিতাম আলতো চুম্বন।
বুক ভরে নিতাম তোমার শরীরের ঘ্রাণ।
তোমার ভেজা এলো চুলের গন্ধে মাতাল হত মনপ্রাণ।
পরজন্মে না হয় জল হয়েই জন্ম নেব।
মনের অপূর্ণতাকে ঘুঁচিয়ে দেব।
জলের মতো নিবিড় করে তোমাকে একান্তে কাছে পাব।
তোমার সারা শরীরে আমি জল-চুম্বন আঁকব।
রচনাকাল : ১০/৩/২০২১
© কিশলয় এবং হিরণ্ময় দত্ত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।