বসন্ত আসিল আজি .....নবরূপে রূপে সাজি
বসন্তের হৃদয় রাঙা কবিতা (পঞ্চম পর্ব)
কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
[বসন্তের আগমনে এবার আমের মুকুল নিঃশেষিত, আমবাগানে মৌমাছির ভিড় নেই, পলাশ-ফোটার পালা ফুরল, গাছের তলায় শুকনো শিমূল তার শেষমধু পিঁপড়েদের বিলিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়েছে। কাঞ্চনশাখা প্রায় দেউলে, ঐশ্বর্যের অল্প কিছু বাকি। কেবল শালের বীথিকা ভরে উঠেছে মঞ্জরিতে। উৎসব-প্রভাতে আশ্রমকন্যারা ঋতুরাজের সিংহাসন প্রদক্ষিণ করলে এই পুষ্পিত শালের বনে, তার বল্কলে আবির মাখিয়ে দিলে, তার ছায়ায় রাখলে মাল্যপ্রদীপের অর্ঘ্য। চতুর্দশীর চাঁদ যখন অস্তদিগন্তে, প্রভাতের ললাটে যখন অরুণ-আবিরের তিলকরেখা ফুটে উঠল, তখন এই ছন্দের নৈবেদ্য বসন্ত-উৎসবের কাব্যগীতি জন্য রচনা রচিত হয়।]
দখিনা বাতাস বয় বহিছে অজয়,
তরুশাখে শোভা পায় নব কিশলয়।
ফুলবাগে ফুলশাখে ফুটে ফুল কলি,
মধু আহরণ তরে আসে যত অলি।
আমবনে কোকিলেরা কুহু কুহু ডাকে,
বক উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে অজয়ের বাঁকে।
শাল পিয়ালের বন নদী হতে দূরে,
মিঠে সুরে বাজে বাঁশি রাখালিয়া সুরে।
মানস উদাস হয় পাখির কূজনে,
বধূরা কলসী কাঁখে চলে আনমনে।
রাঙাপথে দুইধারে খেজুর সুপারি,
পাশে তার তালগাছ আছে সারি সারি।
বসন্তের আগমনে হরষিত মন,
বসন্তের কাব্যগীতি লিখেন লক্ষ্মণ।
রচনাকাল : ৮/৩/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।