বিশ্ব নারী দিবসের জ্বলন্ত কবিতা
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
নারীর অপমান জাতির অপমান
বাঁচাও জাতির মান,
বিশ্ব নারী দিবসে আজি তাদের
দিতে হবে সম্মান।
নারীর সম্ভ্রম ভুলুণ্ঠিত আজি
ভুলতে কভু কি পারি?
বিশ্ব নারী দিবস আজিকে
জাগো বিশ্বের নারী।
রজনী আঁধারে বসন কাড়ে,
ওরা কলির দুঃশাসন,
ওদের অত্যাচারে চলে নির্বিচারে
নারীহত্যা আর ধর্ষণ।
সতীনারী আজি লাঞ্ছিতা হয়ে
প্রাণ দেয় পলে পলে,
নারীধর্ষণ দিকে দিকে আজ
দেশ গেছে রসাতলে।
মরিছে নারীরা অভিমান নিয়ে
জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ কায়া,
সেইদিন হতে নিখিল জগতে
নামিল শোকের ছায়া।
শোন কান পেতে রাত্রি নিশীথে
হাসে কারা খলখল?
হিসাব রাখি না অযুত ধর্ষিতার
কেন জল ঝরে অবিরল।
দিকেদিকে চলে নারী-ধর্ষণ আর
হত্যা রক্ত আর্তনাদ,
নারীরা ধর্ষিতা প্রতি পলেপলে,
কারা পাতে মৃত্যুফাঁদ?
সতীনারী হেথা জ্বলে পুড়ে মরে
পায় নাকো সুবিচার;
ধর্ষকে আজ ছেয়ে আছে দেশ,
দেশ জুড়ে হাহাকার।
মোছ আঁখিজল আগুন জ্বলুক,
দিকে দিকে জ্বালো আগুন,
এই বসুধায় নির্ষাতিতা নারী,
নারীহত্যা, রক্ত আর খুন।
নির্যাতিতা নারী জেগে ওঠো আজ
হাতে তুলে নাও মশাল,
দুচোখে জ্বলুক প্রতিশোধের আগুন
জেগে উঠুক মহাকাল।
অসুরে অসুরে ছেয়ে গেছে দেশ
অসুরে করিতে সংহার,
মহিষাসুরমর্দিনী জাগো তুমি আজি
নাশো অসুর এ ধরার।
রণহুংকারে মেতে ওঠো নারী
আগুন জ্বলুক দুই চোখে,
বজ্রহুংকারে ফেটে পড়ো নারী
হয়ো না ক্ষুব্ধ কভু শোকে।
ত্রিশূল তুলে নাও মাগো আজি
বধিবারে ধরার মহিষাসুর,
বিশ্ববাসী দেখুক নারীর শক্তি
শংকা সবার করো মা দূর।
জেগে ওঠো নারী ভীমা ভয়ংকরী
অসুর সংহারী মাগো তুমি,
করি শিরশ্ছিন্ন করো মা নিশ্চিহ্ন
অসুরমুক্ত করো বিশ্বভূমি।
রণ দুন্দুভি বাজিছে নিখিলে
জাগিছে বিশ্বের নারী,
দানবদলনী মহামায়া আজি
তুলে নাও তরবারি।
কবিতার পাতায় বিদ্রোহ আজি
ভুলতে কভু কি পারি?
অসুরে নাশিতে তাদের বধিতে
ত্রিশূল ধরো গো নারী।
নারীর অপমান জাতির অপমান
বাঁচাও জাতির মান,
বিশ্ব নারী দিবসে আজিকে তাদের
দিতে হবে সম্মান।
রচনাকাল : ৭/৩/২০২১
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।